
দল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ‘জনসংযোগ যাত্রা’র দ্বিতীয় দিনে অসংখ্য কর্মী সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ মিছিলে পথ হাঁটলেন তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার বিকেলে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থেকে হলুদপানির মোড় পর্যন্ত এই পদযাত্রা শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা উপস্থিত ছিলেন।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে বাঁকুড়ার দু’টি কেন্দ্রই তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। এই অবস্থায় এই জেলায় দলীয় অবজার্ভারের দায়িত্ব থেকে ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। দায়িত্ব তুলে দেন তাঁর একনিষ্ঠ সৈনিক শুভেন্দু অধিকারীর উপর। তিনি এই জেলার সাংগঠনিক অবজার্ভারের দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলকে চাঙ্গা করতে উঠে পড়ে গেছেন। এখন লোকসভা ভোটের পরাজয়ের গ্লানি মুছে ফেলে আগামী বিধানসভা ভোটে এই জেলায় দলকে ফের ঘুরে দাঁড় করানোর কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে উপস্থিত হয়েছেন।
দলের ‘জন সংযোগ যাত্রা’ উপলক্ষ্যে এক পথ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজনৈতিক হিংসায় কখনো, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরা ঘরছাড়া হননা। ঘরছাড়া হন গরীব সাধারণ মানুষ। সব দলের রাজনৈতিক কর্মসূচী পালিত হবে। লোকসভা ভোটে জেলায় দলের পরাজয় স্বীকার করেও তিনি বলেন, এই ভোটের পরেও আমরা রাজ্যে প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। এখনও ভেঙে পড়ার কিছু নেই। উল্লেখ্য শুভেন্দু অধিকারীর এহেন মন্তব্য যথেষ্ট রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ লোকসভার ফলাফল প্রকাশের পরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইভিএম কারচুপিকেই দোষারোপ করেন।
অন্যদিকে দলের সমস্ত কার্যালয় খোলার ব্যাপারে কর্মী সমর্থকদের উৎসাহিত করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমি আবারও এই জেলায় আসবো। বাঁকুড়ায় আসার পথে তার গাড়ি সিপিএম-বিজেপির হার্মাদ’রা আটকানোর চেষ্টা করেছিল দাবী করেন। তিনি বলেন, জেলা পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। একই সঙ্গে জেলার পঞ্চায়েত গুলিতে ‘ডেপুটেশনের নামে বিজেপি হামলা’ করছে অভিযোগ তুলে শুভেন্দুর দাবি, এই বিষয়ে প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিন। এখনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ মন্ত্রী পদে তাদের দল নেত্রীই রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:২২:১২ ১০৪ বার পঠিত