
২৮ বছর পর সচল হলো ঢাকার সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলা। মামলার কার্যক্রমের উপর দেয়া আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে মামলার অধিকতর তদন্ত বাতিল প্রশ্নে জারিকৃত রুল খারিজ করে দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি এই হত্যা মামলাটি ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ৯০ দিনের মধ্যে মামলার বিচার শেষ করতে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আদালত বলেছে, নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখতে পাচ্ছি সাক্ষীরা তৎকালকালীন একজন মন্ত্রীর ভাগ্নের জড়িত থাকার কথা বলেছে। গ্রেপ্তার করার পর চাপের কারণে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। মন্ত্রী সাহেবের ভাগ্নে এতো ক্ষমতাবান। সাক্ষীতে নাম এসেছে বলেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হবেন তা তো নয়। অধিকতর তদন্তে বাধা কোথায়।
এ সময় মারুফ রেজার পক্ষে আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মোতাহার হোসেন এবং রাষ্টপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ শুনানি করেন।
উল্লেখ্য, সগিরা মোর্শেদ সালাম ১৯৮৯ সালে ভিকারুননিসা নুন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যান। বিকাল ৫টায় সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা ছিনতাইকারীরা তার হাতে থাকা স্বর্ণের চুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় নিজেকে বাঁচাতে দৌঁড় দিলে গুলি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় ওইদিনই রমনা থানায় মামলা করেন তার স্বামী আ. সালাম চৌধুরী। মামলা নম্বর- ৪৫(৭)৮৯। পরে মিন্টু ওরফে মন্টু ওরফে মরণের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫৭:৫৯ ১৯৬ বার পঠিত