যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে প্রলয়ঙ্করী ঝড়ের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৩ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে আরো ১৬৩ জন মানুষ। এছাড়া বহু বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। বুধবার স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে একথা জানিয়েছে বিবিসি ও এএফপি।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, লস অ্যাঞ্জেলেসের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মোন্টেসিটোতে উদ্ধার অভিযানকালে ধ্বংসস্তুপ ও কাদামাটি থেকে এসব লাশ খুঁজে পাওয়া গেছে।
মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে সান্তা বারবারা কাউন্টির শেরিফ বিল ব্রাউন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতরাতে (সোমবার) আমাদের এলাকার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ের আঘাতে এরা মারা গেছেন।’
সান্তা বারবারা কাউন্টির দমকল বিভাগ এক টুইটার বার্তায় জানায়, ঝড়ের প্রভাবে প্রবল বর্ষণের পর ধসে পড়া ভবনগুলোর ভেতরে হতাহতদের সন্ধানে কুকুর ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২০ জন নিখোঁজ রয়েছে। এতে আরো বলা হয়, দমকল কর্মীরা সফলভাবে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে। মন্টেসিটোতে মেয়েটি একটি বাড়ির ধ্বংস্তুপের মধ্যে আটকা পড়ে ছিল। তবে সান্তা বারবারা এলাকার রোমেরো ক্যানিয়নে এখনও ৩শ মানুষ আটকা পড়ে আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
জরুরি সংস্থাগুলো সাংবাদিকদের জানিয়েছে, অন্তত বেশ কয়েকজন লোক নিখোঁজ রয়েছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়ির ক্ষতি বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
উদ্ধারকারীরা বিপুল সংখ্যক স্থানীয় বাসিন্দাকে উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে ৫০ জনকে আকাশ পথে উদ্ধার করা হয়েছে।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস লস অ্যাঞ্জেলেস জানায়, ভেন্টুরা কাউন্টিতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে পাঁচ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলসের উপকণ্ঠ বুর বাঙ্কের একটি অংশে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এলাকাটিতে ভূমিধস হয়েছে।
প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের কারণে গ্যাস সরবরাহে ‘বড় ধরনের’ বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়া বাড়িগুলোতে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বন্যার পানির তোড়ে টার্মিনাল ২ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৩:৪৫ ৩১৪ বার পঠিত