
হংকংয়ে সাম্প্রতিককালের বিক্ষোভকে ভয়ংকর বলে আখ্যায়িত করেছে চীন। সেইসঙ্গে বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়েছে দেশটি। খবর বিবিসির।
চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই বিক্ষোভ আইনের শাসনের মারাত্মক ক্ষতি করছে।
চীনের হংকং ও ম্যাকাও বিষয়ক মুখপাত্র ইয়াং গুয়ান বলেন, আমরা আশা করি আইনের শাসন রক্ষায় এগিয়ে আসবে জনগণ।
তিনি আরও বলেন, উগ্রপন্থিরা অপরাধমূলক কাজ করছে। আমরা সাধারণ জনগণকে পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করার আহবান জানাচ্ছি।
হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থিদের চলমান সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ফের পুলিশের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের কঠোর আচরণের বিরুদ্ধেও তারা আওয়াজ তুলেছে।
শনিবার হংকংয়ের উত্তরাঞ্চলীয় ইউয়েন লং শহরে পুলিশ টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার পর রবিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
এদিন ব্যস্ত এক শপিং এলাকায় চীন সরকারের একটি কার্যালয়ের কাছে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। লাখো বিক্ষোভকারী রবিবার সাই ওয়ান এবং কসওয়ে বে’র কাছে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। গত আট সপ্তাহ ধরেই হংকংয়ে সরকার বিরোধী ও গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভ চলছে এবং দিন দিনই তা সহিংস রূপ নিচ্ছে।
হংকং বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ নগরী হিসেবে খ্যাতি কুড়ালেও বর্তমানে সেখানে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ এবং প্রতিবাদকারীদের ওপর মুখোশধারীদের হামলার ঘটনায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মূলত চীনের কাছে অপরাধী প্রত্যর্পণ নিয়ে প্রস্তাবিত একটি বিলের বিপক্ষে শুরু হওয়া চীন বিরোধী এ বিক্ষোভ এখন হংকংয়ের স্বাধীনতার আন্দেলনে রূপ নিয়েছে।
রবিবারের বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা ‘হংকং এর মুক্তি চাই’ স্লোগান দিয়েছে। তারা কয়েকটি জায়গায় বেস্টনি ভাঙার চেষ্টা চালায়। বিক্ষোভকারীরা এদিন চীনের লিয়াজোঁ কার্যালয় এবং পূর্বে কসওয়ে বে শপিং এলাকা অভিমুখে পদযাত্রা করেছে।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদেরকে চীনের লিয়াজোঁ কার্যালয়ে যেতে বাধা দেয়। কার্যালয় ভবনটি প্লাস্টিকের বেষ্টনী দিয়ে ঘিরেও রাখে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা এ বাধা উপেক্ষা করে অগ্রসর হতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
আরো পড়ুন: পরিবেশ বাঁচাতে একদিনে ৩৫ কোটি গাছ রোপণ
১৯৯৭ সালে ব্রিটিশদের থেকে চীনের কাছে হস্তান্তরের পর হংকংয়ের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড়ো বিক্ষোভ। চীনের কাছে হস্তান্তরের সময় যুক্তরাজ্য শহরটির স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা অটুট রাখার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৪:১৭ ১৫৮ বার পঠিত