
নিউজটুনারায়ণগঞ্জ : খুটি থেকে স্থায়ী ভাবে নেওয়া হয়েছে বৈদুতিক সংযোগ, মিটারও ছিলো বাড়িটিতে। নিময়তান্ত্রীক ভাবে ফ্লাটে ফ্লাটে যায় বিদ্যুৎ। তবে যে মিটার হয়ে বিদ্যুৎ পরিবেশন হয়, সেই মিটারটাই ছিলো অবৈধ।
সোমবার (২৯ জুলাই) পশ্চিম দেওভোগে অভিযান চালিয়ে এমন প্রতারণার ঘটনা উৎঘাটন করে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। এ ঘটনায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
তবে মামলাটিতে যাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তিনি ওই এলাকারই আব্দুল জলিলের পুত্র মৃত খোদা বক্স। স্থানীয়রা বলছে, এ ঘটনার মূল নায়ক মৃত খোদা বক্সের ছেলে মামুন বক্স। ছেলে মামুনের অপকর্মের জন্য এ হতভাগ্য বাবাকে মৃত্যুর পরেও দাঁড়াতে হলো আসামীর কাঠগড়ায়।
ডিপিডিসি জানায়, ওই প্রতারকদের ৩-৪টি বাড়ি। একটি বাড়ি থেকে ৭ লাখ টাকার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পায় ডিপিডিসি। তাদেরই মালিকানাধীন পাশের অন্য একটি বাড়িতে ভূয়া মিটার লাগিয়ে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ চুরি করছিলো। এছাড়া ৩য় বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিলো ঠিকই, ছিলো না মিটার।
তবে অভিযুক্ত মামুন বক্স বলেন, বাড়িটি এখনো বন্টননামা হয়নি। তাই এত টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হয়ে আছে। আর পাশের বাড়ির মিটারের সংযোগ ঢিলে ঢালা করে রাখায় ডিপিডিসির কর্মকর্তারা বলছে মিটার তাদের না। আর নতুন একটি মিটারের জন্য আবেদন করেছি, চলতি মাসে দেওয়ার কথা ছিলো। তাই বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে মামলাটি আমার বাবার নামে করা হয়েছে।
এব্যাপারে এলাকাবাসী ও সচেতন মহল তাদের মতব্যাক্ত করে বলেছেন, ডিপিডিসির দায়িত্বরত অসাধু কর্তা-ব্যাক্তিরা ঘুষ খেয়ে হুশ হারিয়ে ফেলেছে যার কারণে ছেলের বদলে মৃত বাবাকে আসামী করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিপিডিসির প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলাটি খোদা বক্সের নামে নয়, ছেলে মামুনের নামে করা হবে। তাও ১ টি নয় ৩টি। এবং এ বিষয়ে খুব দ্রুত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
এদিকে, বিদ্যুৎ চুরির বিষয়ে অনুসন্ধান করতে এলাকাটিতে গেলে স্থানীয়রা জানান, এই মামুন বক্স নিজেকে ক্ষমতাশীলদের লোক পরিচয় দিয়ে নানা সময় মানুষকে হেনস্ত করেন। তার কার্যক্রমে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে পরেছে। সব সময়ই এলাকার মানুষের সাথে অন্যায়, অত্যাচার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০:৩৪:১০ ৩০২ বার পঠিত