আজ (শুক্রবার) ০২ আগস্ট’২০১৯
(বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর মৃত্যু)
আজ বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিচারপতি, বুদ্ধিজীবী আবু সাঈদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৭ সালের এই দিনে লন্ডনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। উদার গণতন্ত্রী, মানবতাবাদী ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনে তার অবদান স্মরণীয়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেশিকোওম উপাধি ও কলক তা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে দেওয়া হয়েছিলো ডক্টর অব ল ডিগ্রি। প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি তার মূল্যবান গ্রন্থ। টাঙ্গাইলের নগরবাড়িতে ১৯২১ সালের ৩১ জানুয়ারি তার জন্ম। তার পিতা সাবেক পূর্ব পাকিস্তান গণপরিষদের স্পিকার আবদুল হামিদ চৌধুরী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪০ সালে বিএ পাসের পর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এমএ এবং ল’ পাস করেন। এরপর আইনশাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রির জন্যে চলে যান ইংল্যান্ডে। লন্ডনের লিংকনস ইন থেকে বার এট ল ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন আবু সাঈদ চৌধুরী। প্রেসিডেন্সি কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস, নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, মুসলিম ছাত্র ফেডারেশন ব্রিটিশ শাখার সভাপতি হিসেবে সুপরিচিত ছিইলেন। দেশ বিভাগের পর ঢাকা হাইকোর্টে ওকালতি করেন।
৬০-এ পূর্ব পাকিস্তান এডভোকেট জেনারেল এবং ৬১ তে ঢাকা হাইকোর্টে বিচারপতি নিযুক্ত হন। প্রায় ৯ বছর ছিলেন এ পদে। ৬৯-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হন। পূর্ববাংলার ছাত্র জনতার ওপর পুলিশী নির্যাতনের প্রতিবাদে ভিসি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে প্রবাসে বিশেষ দূত হিসেবে মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। ৭২-এ হন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি । ৭৩-এ পদত্যাগ। পরে মন্ত্রী মর্যাদায় সরকারের আন্তর্জাতিক বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন দেড় বছর । শেখ মুজিব সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। জাতিসংঘের সংখ্যালঘু বৈষম্য প্রতিরোধ ও অধিকার সংরক্ষণ কমিশনের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন পর পর ৩ বার। ৮৫-৮৬ তে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানও ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।
১৭১২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে খ্যাতনামা ফরাসী বিজ্ঞানী ড্যানিস পাপিন মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বাষ্প চালিত ইঞ্জিন আবিস্কার করেন এবং তার এই প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে গাড়ী ও জাহাজ নির্মান করা হয়।
১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে জার্মানীর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানীর সেনা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ফিল্ড মার্শাল হিডেন বার্গ মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে জার্মানীর প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হন। নাৎসি দলের নেতা হিটলারের ব্যাপক ক্ষমতাধর হওয়া সত্ত্বেও ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনেও হিডেন বার্গ বিজয় লাভ করেন। কিন্তু এর এক বছর পর তিনি হিটলারকে জার্মানীর চ্যাঞ্চেলর হিসাবে নিযুক্ত করতে বাধ্য হন। হিডেন বার্গের মৃত্যুর পর হিটলার জার্মানীর পুরো কর্তৃত্ব গ্রহণ করে। হিটলার তার সম্প্রসারণকামী লক্ষ্য বাস্তায়নের জন্য সমগ্র শক্তি নিয়োগ করে।
১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে ইরাকের সাবেক সাদ্দাম সরকার কুয়েত দখল করে। ১৯৮০ সালে ইরানে আগ্রাসন চালানোর পর এটা ছিল সাদ্দামের দ্বিতীয় আগ্রাসনের ঘটনা। সাদ্দাম কুয়েতকে তার ভূখন্ডের অংশ বলে মনে করতো এবং দেশটি দখল করে নেয়ার পর কুয়েতকে ১৯তম প্রদেশ বলে ঘোষণা করে। কুয়েত দখলের পেছনে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দামের উদ্দেশ্য ছিল দেশটির বিপুল পরিমাণ তেল সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। এর মাধ্যমে সাদ্দাম পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং গোটা আরব বিশ্বের নেতৃত্ব লাভ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ইরাক কুয়েত দখলের ফলে সারা বিশ্বে ব্যাপক নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও বিশ্বের দেশগুলো ইরাকের এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে কুয়েত থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি দেশ কুয়েত থেকে ইরাকী সৈন্যদেরকে বিতাড়িত করার জন্য পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় ব্যাপক সৈন্য সমাবেশ ঘটায়। সাত মাস ধরে ব্যাপক কুটনৈতিক তৎপরতা চালানো সত্ত্বেও সাদ্দাম কুয়েত থেক সৈন্য সরিয়ে আনতে অস্বীকৃতি জানায়। শেষ পর্যন্ত মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী ইরাকে হামলা চালায় এবং ১৯৯১ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারীতে কুয়েত মুক্ত করে।
হিজরী ৪৯৯ সালের এই দিনে মিশরের খ্যাতনামা সাহিত্যিক ও অভিধান প্রণেতা ইবনে বেরি জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি রাজধানী কায়রোয় বসতি স্থাপন করেন এবং সেখানকার জ্ঞানী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অনেক শিক্ষা অর্জন করেন। তিনি তৎকালীন সময়ের নামকরা সাহিত্যিক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি মিশরে কোরআন শরীফ ও আরবী ভাষা সাহিত্য শিক্ষাদানে আত্মনিয়োগ করেন।
ইতিহাসের এই দিনে সংঘটিত আরো কিছু ঘটনার মধ্যে রয়েছে,
১৭১৮ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনে চার শক্তির মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে ভারতে গভর্ণমেন্ট অব ইন্ডিয়া জারি করা হয়
১৯৮৭ সালে বাংলাদেশে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী ইন্তেকাল করেন।
স্পেনের বিরুদ্ধে লন্ডনে ব্রিটেন, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া ও হল্যান্ডে-চতুঃশক্তির মৈত্রী জোট গঠন (১৭১৮)
মুর্শিদাবাদ দখলের পর গিরিয়াতে ব্রিটিশ সৈন্যদের সঙ্গে মীর কাশিমের যুদ্ধ শুরু (১৭৬৩)
ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ভারতের শাসনভার গ্রহণ এবং ভারতের সর্বোচ্চ শাসককে ভাইসরয় পদবি প্রদান (১৮৫৮)
ব্রিটিশ কলম্বিয়া গ্রেট ব্রিটেনের উপনিবেশে পরিণত (১৮৫৮)
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্ম (১৮৬১)
প্রথম বাঙালি স্থপতি নীলমনি মিত্রের মৃত্যু (১৮৯৪)
টেলিফোনের আবিষ্কারক গ্রাহামবেলের মৃত্যু (১৯২০)
জার্মানির স্বৈরশাসকরূপে এডলফ হিটলারের আত্মপ্রকাশ (১৯৩৪)
ইউরোপে শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে স্তালিন, রুজভেল্ট ও চার্চিলের চুক্তি স্বাক্ষর (১৯৪৫)
দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তি সংগ্রামের নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা কারাবন্দী (১৯৬২)
ইরাকের কুয়েত দখল (১৯৯০)
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭শ’ নিহত (১৯৯৯)
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৮:২৭ ১৬২ বার পঠিত