
নিউজটুনারায়ণগঞ্জ : সৌদি বাদশাহ সালমানের এক ডিক্রি জারির পর এখন থেকে সৌদি নারীরা পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। দীর্ঘদিন সৌদি নারীরা অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো দেশে যাতায়াত করতে পারতেন না। এমনকি সৌদি আরবের ভিতরেও অবাধ যাতায়াত ও কেনাকাটা বা খেলাধুলাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারতেন না। যৌদি যুবরাজ বিন সালমানের সংস্কারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে সৌদি নারীরা এখন ২১ বছরের বেশি যে কোনো সৌদি নারী পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া পাসপোর্টের জন্যে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে তারা নিজেরা পাসপোর্টের জন্যে আবেদন করতে পারতেন না। ২০১৬ সালে ওই সংস্কারের অংশ হিসেবে সৌদি নারীরা লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে যাতে কোনো অসুবিধায় না পড়েন তা নিশ্চিত করতেই শুক্রবার এক সৌদি রাজকীয় ফরমান জারি করা হয়। এ ফরমান অনুযায়ী সৌদি নারীরা বিদেশ ভ্রমণ ছাড়াও বিয়ে বা বিয়ে বিচ্ছেদের ক্ষমতা পেয়েছেন। ২০৩০ সালে সৌদি নারীদের বর্তমান কর্মসংস্থানের হার ২২ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য হিসেবেও এসব সংস্কার আনা হচ্ছে। কিন্তু ব্যাপক কর্মসংস্থানের জন্যে সৌদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭শতাংশের উপরে নিতে হবে। এজন্যে তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ব্যাপক ভিত্তিক যে বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন তার অভাব এখনো রয়ে গেছে। একই সঙ্গে ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসনের পর প্রতিবেশি দেশটি থেকে সৌদির অভ্যন্তরে পাল্টা হামলার ঘটনাও বাড়ছে। এতে বিদেশি বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ অনেকটা হুমকির মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:১৬:১২ ১০৪ বার পঠিত