
অনাবৃষ্টি জনিত কারণে কৃষকদের অবস্থা খুবই খারাপ। পর্যাপ্ত জলের অভাবে কার্যত ভালোভাবে চাষও হয়নি। এবার তাঁদের কথা ভেবেই যথেষ্ট উদ্বিগ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সে কারণেই একমাত্র রাজ্য সরকার সমস্ত কৃষকের বিনামূল্যে শস্যবীমার ব্যবস্থা করেছে। শুক্রবার বাঁকুড়া সার্কিট হাউসে চাষের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে এক পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত হয়ে একথা বলেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তিনি আরও বলেন, এই শস্যবীমা যোজনার আওতায় যাতে সর্বাধিক কৃষক আসতে পারেন সে ব্যাপারে ইতিমধ্যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় চাষের কাজ এক দিকে যেমন ব্যহত হয়েছে, তেমনি জলাধার গুলিও ভরে ওঠেনি। তার মধ্যেও সেচ দপ্তর রাজ্যের কংসাবতী, ডিভিসি, ময়ুরাক্ষী জলাধার থেকে জল ছেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের তরফে বিকল্প চাষের ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে জানিয়েছেন তিনি।
একই সঙ্গে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, উত্তরবঙ্গে যেমন হাইব্রিড ভুট্টা চাষ হচ্ছে, তেমনই এই জেলায় তেল ও ডাল শস্য চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবছর জেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কৃষি মন্ত্রী বলেন, চাষীরা বলছেন আগষ্ট মাস পর্যন্ত পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছন সম্ভব। চাষীদের আশ্বস্ত করে এদিন আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, কোথাও ধানের বীজ তলা জলের অভাবে নষ্ট হয়ে গেলে সরকারী কৃষি খামারে তৈরী বীজ তলা যাতে সরবরাহ করা যায় সেবিষয়ে ভাবনা চিন্তা রয়েছে।
ইতিমধ্যে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার কৃষক শস্যবীমার আওতায় এসেছেন দাবী করে তিনি বলেন, এর পরেও এই জেলার পিছিয়ে থাকা বাঁকুড়া-১,২, বিষ্ণুপুর, ইন্দাস, রাইপুর ও তালডাংরা ব্লকে এবিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচী নিয়ে এই প্রকল্পে সমস্ত চাষীকে যাতে আনা যায় সেব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এদিনের বৈঠকে কৃষি মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্রের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, জেলাপ্রশাসনের আধিকারিক, জেলা কৃষি অধিকর্তা সুশান্ত মহাপাত্র সহ বিভিন্ন ব্লক কৃষি আধিকারিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৫:২৬ ১২১ বার পঠিত