
মালয়েশিয়ায় গত জানুয়ারি থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১১৩ জন মারা গেছেন । ইতিমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রায় ৮০ হাজার লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
দেশটির উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী লি বুন চেই বলেন, যদি মশাবাহিত এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব না হয়, তবে বছর শেষে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে যাবে।-খবর স্ট্রেইট টাইমস, সিএনএন।
গত বছর একই সময়ে দেশটিতে ডেঙ্গু রোগে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। শহরাঞ্চলেই ৭০ শতাংশেরও বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২০১৭-২০১৮ সালে হ্রাস পেয়েছিল, কিন্তু ২০১৯ সালে রোগটির প্রকোপ হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে।
চলতি বছর বিশেষভাবে অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীন, লাওস, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এর আগে ২০১৫ সালে মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। তখন এক লাখ ২০ হাজার ৮৩৬ ব্যক্তি মশাবাহিত এই সংক্রমণে ভুগছিলেন। আর মৃত্যু হয়েছিল ৩৩৬ জনের।
লি বলেন, ডেঙ্গু মহামারী থেকে রেহাই পেতে তারা বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা করছেন। এক্ষেত্রে মশা প্রজননের কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করছেন তারা।
তিনি বলেন, ফিলিপিন্সে ডেঙ্গ টিকা ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হওয়ায়ও পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
ফিলিপাইনে ইতিমধ্যে ছয়শোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিকে ডেঙ্গুকে মহামারী ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশও বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। সরকারি ও বেসরকারি হিসেব মিলিয়ে চলতি বছর সত্তরের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। সরকার ইতিমধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে কাজ শুরু করেছে। নির্মাণাধীণ বিল্ডিংয়ে মশার লার্ভা পাওয়ায় বেশ কজনকে জরিমানাও করেছে সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু ঠেকাতে নাগরিক সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। যার যার বাসা ও আশাপাশ নিজেদের পরিষ্কার রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪৩:৩৪ ১৩৫ বার পঠিত