
ভারতের আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে (এনআরসি) ১৯ লাখ মানুষ বাদ পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর। একইসঙ্গে এমন কোনো পদ্ধতি যেন গ্রহণ না করা হয়, যাতে একজন মানুষকেও রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয় হাইকমিশনার ফিলিপ গ্র্যান্ডি এ আহ্বান জানান।
এখনো এনআরসির পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। তথাপি অন্য কোনো জাতীয়তার নিশ্চয়তা না পেলে এই প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক মানুষ রাষ্ট্রহীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ইউএনএইচসিআর এর। তাই সংস্থাটি গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ফিলিপ গ্র্যান্ডি বলেন, বিপুল সংখ্যক লোক জাতীয়তা হারাতে এমন যে কোনও প্রক্রিয়া রাষ্ট্রহীনতা নির্মূল করার বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার জন্য এক বিরাট আঘাত।
তিনি আরও বলেন, একজন ব্যক্তিও রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ে এমন কোনো প্রক্রিয়া যাতে গ্রহণ করা না হয়, সেজন্য আমরা ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানাই। তালিকা থেকে বাদ পড়া মানুষগুলোর সর্বোচ্চ মানসম্মত উপায়ে যথেষ্ট তথ্য প্রাপ্তির অধিকার, আইনি সহায়তা ও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার যেন থাকে।
ইউএনএইচসিআর অবশ্য ভারতের সার্বভৌম অধিকার ও কর্তৃত্ব আছে, কে ভারতীয় তা নির্ধারণ করার। তবে সংস্থাটি দাবি জানিয়েছে, তবে সরকার যাতে এমন কোনো পদক্ষেপ না নেয় যাতে, আসাম বা অন্য কোনো রাজ্যে কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রহীন হওয়ার ঝুঁকিতে না পড়ে। এই প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে যার জাতীয়তা যাচাই করা হয়নি এমন কাউকে আটক বা নির্বাসন থেকে বিরত থাকার জন্য কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাই।
ভারত সরকারকে সেদেশের জাতীয়তা নির্ধারণ ও রাষ্ট্রহীনতার ঝুঁকি এড়াতে নিজেদের কার্যপ্রণালী ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ভারত সরকারকে সহায়তারও প্রস্তাব দেয় সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৭:৪৪ ২৪৩ বার পঠিত