হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বাঘজুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক ওরফে নিবর শাহ মিয়া হত্যার ঘটনায় ১০ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৭ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
হত্যাকান্ডের ঘটনার দীর্ঘ ১৮ বছর পর আজ বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভীন এই আদেশ প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ২৯ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৫টায় বাঘজুর গ্রামের মসজিদে যাওযার পথে কৃষক আব্দুর রাজ্জাক নিবরশাহ মিয়াকে একই গ্রামের রমিজ উল্লা ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে ঘটনাস্থলেই খুন করে। আসামীদের লোকজন গ্রামের গ্রামের জনৈক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি হাঁস চুরি করলে, ওই ঘটনা নিবরশাহ মিয়া সবাইকে জানিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে খুন করা হয়। ওইদিন রাতেই নিবরশাহ মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া বাদি হযে বানিয়াচং থানায় ২৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বানিায়াচং থানার এসআই অরুণ চন্দ্র চন্দ অভিযোগপত্র দাখিল করলে ১২ জনের সাক্ষী গ্রহণ শেষে বিচারক ১০ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। রায় প্রদানকালে রমিজ আলী, তরিক উল্লাহ, আব্দুল মান্নান, বাচ্চু মিয়া, ইউসুফ উল্লা, আব্দুল মতলিব ও নসিম উল্লা উপস্থিত ছিলেন। আব্দুর রহমান, আব্দুস সালাম এবং আব্দুল হান্নান পলাতক রয়েছেন।
মামলায় বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়, আইয়ুব আলী, জামাল উদ্দিন, নুর ইসলাম, আব্দুর রউফ, আব্দুল বারিক, আব্দুন নূর, মৃত অসিম উল্লা, মৃত শারাফত উল্লা, রফিক উল্লা, খুরশেদ আলী, আব্দুল হামিদ, আব্দুল হামিদ-২, আব্দুল হক, আব্দুল মান্নান, মৃত আব্দুস সোবহান ও সিরাজ আলীকে।
রায় প্রদানকালে নিহত নিবরশাহ মিয়ার ছেলে ও মামলার বাদী হারুন মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি রায় শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক জানান, আসামীপক্ষ উচ্চ আদালত থেকে স্থগিত করে রাখায় মামলাটির রায় ঘোষণা হতে ১৮ বছর লেগেছে। এই রায়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট হাবিবুর রহমান বলেন, তারা এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপীল করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫২:২৮ ২৯৫ বার পঠিত