
নিউজটুনারায়ণগঞ্জ : ফতুল্লায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী মাহবুবুল হক বাবলুকে (৫০) কিল ঘুষি ও লাথি মেরে আলম নামে এক ব্যক্তি একাই হত্যা করেছে। এরপর আলম নিজেই বাবলুকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে মৃত্যু সংবাদ শুনে পালিয়ে যায় আলম।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালতে দোষ স্বীকার জবানবন্দি দিয়েছে আলম (৪৫)। এর আগে তাকে মঙ্গলবার বিকেলে তাতে রাজধানী ঢাকার ফকিরের পুল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আলম (৪৫) ফতুল্লার তল্লা সুপারীবাগ এলাকার বেনু মিয়ার ছেলে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আলম একাই বাবলুকে হত্যা করেছে। গত ৭ অক্টোবর রোববার দিবাগত রাত ৩টায় মাহবুবুল হক বাবলু (৫০) হাজীগঞ্জ বাজারে জাফরের চায়ের দোকানে চা খেতে যায়। সেখানে আগে থেকেই বসে ছিলেন আলম। এসময় আলমকে কাজ করোনা ঘুরে ফিরে কি করো জিজ্ঞেস করে বাবলু। এনিয়ে তর্কে জড়িয়ে আলম কয়েকটি ঘুষি দেয় বাবলুকে। এতে বাবলু মাটিতে পড়ে গেলে আলম আরও কয়েকটি লাথি দেয়।
এক পর্যায়ে বাবলু মাটিতে নিথর হয়ে পড়লে স্থানীয়রা আলমকে চাপ দেয় ডাক্তারের কাছে নিতে। তখন আলম ডাক্তারের কাছে না নিয়ে বাবলুকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। বাবলুর ভাইয়েরা বিষয়টি জানতে পেরে আলমকে তাদের বাসায় মারধর করে। এক পর্যায়ে আলম একাই রিকশায় উঠিয়ে বাবলুকে খানপুর ৩শ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। পিছনে বাবলুর ভাইয়েরাও আসে। হাসপাতালের চিকিৎসক যখন বাবলুকে মৃত ঘোষণা করেন তখন আলম পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এঘটনায় নিহতের বড় ভাই জুয়েল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৮:৪০ ২০৪ বার পঠিত