
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারকে হটাতে আজাদি মার্চে বিরোধী দলগুলোর বিভিন্ন বিকল্পের মধ্যে সংসদ থেকে আইনপ্রণেতাদের পদত্যাগের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দেশটির জমিয়ত উলামা-ই ইসলাম-ফজলের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান এমন দাবিই করেছেন।
বিদেশি গণমাধ্যমে দেয়া এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, তার দল ‘১২৬ দিনের মডেল’ অনুসরণ করবে না। কিংবা কোনো উন্মুক্ত স্থানে কর্মীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান করিয়েও কোনো আন্দোলনে যাবে না।
পাকিস্তানের এই রাজনীতিবিদ আলেম বলেন, যদি আমরা ইসলামাবাদে পৌঁছাতে সক্ষম হই, তবে আমাদের কর্মপরিকল্পনা একটি সুনির্দিষ্ট পথ ধরে এগোবে। কিন্তু সেটা করতে যদি দেয়া না হয়, তবে ‘কারাগার আমাদের দিয়ে পূর্ণ কর আন্দোলনে’ যেতে চাচ্ছি আমরা।
তবে রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ন্যূনতম সংঘাতে যেতে চাচ্ছেন মাওলানা ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, সংবিধানে বেঁধে দেয়া সীমার ভেতর থেকে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দলীয় হওয়া উচিত। কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানই অন্ধভাবে সরকারকে সমর্থন দেয়নি।
তবে সরকারে তাদের সমর্থন আছে, এমন কোনো ধারণা থাকলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত সেই ধারণা বাদ দেয়া বলে জানালেন পাকিস্তানের এ আলেম রাজনীতিবিদ।
সাবেক ক্রিকেট কিংবদন্তি ইমরান খানের সরকার সব দিক দিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই নতুন নির্বাচন দেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলেই মনে করেন ফজলুর রহমান।
এতে দেশ গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসবে বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আজাদি মার্চ কোনো অবস্থান কর্মসূচি কিংবা অচলাবস্থা তৈরির আন্দোলন না। তবে সরকার পতনের আগ পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৭:৪৫ ১৪৬ বার পঠিত