১৮৮১ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি বিখ্যাত স্কটিশ ঐতিহাসিক, সাহিত্য সমালোচক ও কলামিস্ট থমাস কার্লাইল ৮৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৭৯৫ সালের ৪ ডিসেম্বর স্কটল্যান্ডের ইক্লেফেচান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জার্মান ও আরবী ভাষা খুব ভাল জানতেন। থমাস কার্লাইল লন্ডনের বিখ্যাত কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হবার জন্য কার্লাইল বহু মুসলিম দেশ সফর করেছেন। পবিত্র কোরআন সম্পর্কে তিনি বলেছেন, মহাগ্রন্থ আল কোরআনকে মনোযোগ দিয়ে পড়া উচিত। কোরআন ছাড়া অন্য কোন গ্রন্থের ওপর নির্ভরতা মানুষের কোন কাজেই আসবে না। ইসলাম সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী একজন মুসলমানের সর্বশক্তির উৎস সৃষ্টিকর্তার ওপর সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণের মধ্যে।’ থমাস কার্লাইল অসংখ্য মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন। তন্মোধ্যে ‘বীর ও বীরত্বের পদ্ধতি,’ ‘ফরাসী বিপ্লব’ এবং ‘অতীত ও বর্তমান’ উল্লেখ্যযোগ্য।

১৭৯২ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি টিপু সুলতান ব্রিটিশ ও হায়দারাবাদের নিজামের কাছে পরাজিত হয়ে মহিশুরের অর্ধেক এলাকা ব্রিটিশদের হাতে ছেড়ে দেন। টিপু সুলতান ছিলেন দক্ষিণ ভারতের মহীশূর রাজ্যের শাসক ৷ তিনি ১৭৫০ সালের পিতা হায়দর আলী মহীশূর রাজ্যের সেনাপতি ছিলেন ৷ ভারতে ইংরেজদের আধিপত্য প্রতিরোধে টিপু সুলতান ১৮০০ শতাব্দীর শেষদিকে ইংরেজদের সঙ্গে তীব্র লড়াই করেছিলেন। কিন্তু তার এক সেনাপতি মীর সাদিক বিশ্বাসঘাতকতা করে বৃটিশদের সঙ্গে হাত মেলান ৷ ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সঙ্গে যুদ্ধে ১৭৯৯ খৃস্টাব্দে তিনি পরাজিত ও নিহত হন ৷ তিনি তার শৌর্য বীর্যের কারণে শের-ই-মহীশুর নামে পরিচিত ছিলেন।

১৯৬৬ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে বিরোধী রাজনৈতিক দলের এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৬ দফা দাবি পেশ করেন। ছয় দফা দাবির মূল উদ্দেশ্য- পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেল বা যৌথরাষ্ট্র এবং ছয় দফা কর্মসূচীর ভিত্তিতে এই ফেডারেশন বা যৌথরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। পরবর্তীতে এই ৬ দফা দাবিকে কেন্দ্র করে স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন জোরদার করা হয়। আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পেছনে ছয় দফা আন্দোলনের অবদান অনস্বীকার্য।

৩৭ হিজরীর ৯ই সফর রাসূলে করীম (সাঃ) এর বিশিষ্ট সাহাবী ও হযরত আলী (আঃ) এর ঘনিষ্ঠ সহচর হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির সিফফিনের যুদ্ধে শহীদ হন। আমিরুল মোমেনীন হযরত আলীর সমর্থক ও আমির মোয়াবিয়ার সৈন্যদের মধ্যে ঐ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। আম্মার ইয়াসির হিজরতের ৫৭ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ইয়াসির এবং মাতার নাম সুমাইয়া। হযরত সুমাইয়া হচ্ছেন ইসলামের প্রথম শহীদ।নবী করীম (সাৎ) হযরত আম্মারকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, একদল অত্যাচারী জালিম তোমাকে হত্যা করবে ৷ রাসূলের এ ভবিষ্যদ্বানীর বাস্তবায়ন ঘটে সিফফিনের যুদ্ধে। ঐ যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে মুয়া’বিয়ার সৈন্য দলের হাতে আম্মার ইবনে ইয়াসির শহীদ হন ৷ হযরত আলী ও মুয়াবিয়া এই দুজ’নের মধ্যে কে সত্যের পথে এ নিয়ে যারা সেদিন সন্দেহের মধ্যে ছিল যে, আম্মার ইয়াসিরের শাহাদতের ঘটনা থেকে তারা বুঝতে পেরেছিল যে মুয়া’বিয়া ও তার বাহিনী বাতিলের পথে ৷ কেননা ‘আম্মারকে’ তারাই হত্যা করেছে ৷

ফার্সী ১৩৫৭ সালের ১৭ই বাহমান ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেনী (রহঃ) মাহদী বাজারগানকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করে করে একটি পৃথক সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। ইমামের এ সিদ্ধান্তের সমর্থনে ইরানের লক্ষ লক্ষ জনতা রাস্তায় বেরিয়ে আসে। তারা ইমামের সমর্থনে এবং বখতিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল বের করে। এদিন মার্কিন সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি জেনারেল হাইজার্স পাহলভী সরকারের স্থায়িত্ব বৃদ্ধির চেষ্টা করতে তেহরান সফরে আসেন এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে পাল্টা বিপ্লবের ব্যাপারে বৈঠক করেন। কিন্তু এক মাসের মধ্যেও লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি নিজ দেশে ফিরে যান।

আজ থেকে ২১ বছর আগে অর্থাৎ ফার্সী ১৩৬৬ সালের ১৭ই বাহমান ইরানের সমসাময়িক কালের বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক ইবরাহিম মীর ফাখারেয়ী মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ইরানের উত্তরাঞ্চলের জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৬ বছর বয়সে উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি তেহরানে আসেন। তিনি ইরানে বিদেশী হস্তক্ষেপ ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে মীর্জা কুচাক খান জাঙ্গালীর নেতৃত্বে পরিচালিত আন্দোলনে অংশ নেন। অধ্যাপক ইবরাহিম মীর ফাখারেয়ী বেশ কিছু বই লিখেছেন। তন্মোধ্যে ইরানের ইতিহাস,সার্দর জাঙ্গাল, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে গীলান প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্পেনের মিনার্কে অধিকার (১৭৮২)
টিপু সুলতান ব্রিটিশ ও হায়দ্রাবাদের নিজামের কাছে পরাজয় বরণ করে মহীশূরের অর্ধেক তাদের ছেড়ে দেন (১৭৯২)
চতুর্দশ চার্লসকে সুইডেনের রাজা ঘোষণা (১৮১৮)
টায়ার উদ্ভাবক জন ডানলপের জন্ম (১৮৪০)
ভারত সংস্কারক সভা কর্তৃক ভারত আশ্রম প্রতিষ্ঠিত (১৮৭২)
জোড়াসাকোর ঠাকুরবাড়িতে খামখেয়ালি সভা প্রতিষ্ঠিত (১৮৯৭)
ইতালিতে একীভূত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা (১৯৩৪)
নতুন সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জামাল আবদেল নাসের মনোনীত (১৯৫৮)
জাতীয় সংসদে বিরোধী ও স্বতন্ত্র সদস্যদের ওয়াক আউটের মুখে একতরফাভাবে বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিল পাস (১৯৭৪)

বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৫:৪৩   ৩৮৫ বার পঠিত