
জাতিসংঘে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নালিশ করেছে ভারত।জাতিসংঘের এ সংক্রান্ত সংস্থা আইসিএও-এর শরণাপন্ন হয়েছে দিল্লি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সৌদি সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। এ নিযে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ভারত। মঙ্গলবার এ তথ্য পরিবেশন করেছে আল জাজিরা।
ভারতের দাবি, বেসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও)-এর আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। এই নীতিমালা অনুযায়ী, কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ ভিভিআইপি ব্যক্তিদের বিশেষ বিমানের ক্ষেত্রে পরস্পরের আকাশসীমা ব্যবহারে কোনও বাধা নেই। তবে পাকিস্তান দফায় দফায় এই নিয়ম লঙ্ঘন করায় দেশটির বিরুদ্ধে আইসিএও-এর শরণাপন্ন হয়েছে দিল্লি।
নিয়ম লঙ্ঘন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিজ দেশের আকাশসীমা ব্যবহার করতে না দেওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় অংকের জরিমানা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
ভারতীয় একটি সূত্র দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই-কে জানিয়েছে, দিল্লি এ ধরনের ফ্লাইটের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের কাছে ছাড়পত্র চাওয়া অব্যাহত রাখবে।
কাশ্মির ইস্যুতে ভারতের জন্য নিজ দেশের আকাশপথ বন্ধ করে দেয় ইসলামাবাদ। সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সৌদি সফরের জন্য বিশেষ বিবেচনায় তাকে পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানায় দিল্লি। তবে এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ। এরপরই জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাটির শরণাপন্ন হয় ভারত।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, মোদিকে আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দেবে না সরকার। এ বিষয়ে পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসলামাবাদের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিমান নিয়ে তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর ফল তাদের ভুগতে হবে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বালাকোটে দিল্লি বিমান হামলা চালানোর পর ভারতের জন্য নিজ দেশের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছিল ইসলামাবাদ। তখন প্রায় চার মাস পাকিস্তানের আকাশসীমা হয়ে ভারতের বিমান চলাচল বন্ধ থাকে। ২৬ ফেব্রুয়ারি বন্ধ করে দেওয়ার পর গত ১৬ জুলাই ফের আকাশপথ খুলে দেয় পাকিস্তান। পরে ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের ঘটনায় ফের একই পথ অনুসরণ করে ইসলামাবাদ। এতে করে বিপাকে পড়ে ভারত। কেননা, স্বাভাবিক সময়ে ভারতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার কমবেশি ৫০টি বিমান বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করে। এই বিমানগুলো মূলত যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৮:১২ ১৯০ বার পঠিত