
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়াংকা গান্ধী বলেছেন, উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য পুলিশ নিরপরাধ দুই মুসলিম যুবককে বিনাকারণে গুলি করে হত্যা করেছে।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ না নিলেও রাজ্যজুড়ে ১১০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবর এনডিটিভির।
তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধীর এ ভারতে কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি চলতে পারে না। নিরপরাধ নাগরিকদের ধরে নির্যাতন ও হত্যা এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশ কর্মকর্তাদের বেআইনি পদক্ষেপ নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কংগ্রেস নেত্রী উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ও সরকারের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উত্থাপন করেন।
প্রিয়াংকা গান্ধী বলেন, আমার নিরাপত্তা কোনো বড় ইস্যু নয়, আমার কোনো নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। আমরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা বলছি– নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা চাই।
আমরা জানতে পেরেছিলাম সাড়ে ৫ হাজার আন্দোলনকারীকে জেলে আটক রেখে মারধর করছে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন।
তিনি বলেন, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, এই প্রথমবার নাগরিকত্ব আইনে নাগরিক হওয়ার ক্ষেত্রে মাপকাঠি হিসেবে ধর্মকে রাখা হয়েছে।
শুধু উত্তরপ্রদেশেই ২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, অনেকের দেহেই গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
বিজনৌড়ে পুলিশের গুলিতে নিহত দুজনের বাড়িতে যান প্রিয়াংকা গান্ধী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি বিজনৌড়ে গিয়েছিলাম, সেখানে দুই নিরপরাধ মুসিলম যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ।
এদের মধ্যে একজন ছিলেন কফি বিক্রেতা, যিনি তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। দুধ কিনতে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। এর ৩০ মিনিট পর তার গুলিবিদ্ধ লাশ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করলে পরিবারের অন্য সদস্যদের এ হাল হবে বলে হুমকি দিচ্ছে পুলিশ।
প্রিয়াংকা গান্ধী বলেন, অন্য মুসলিম যুবক (২০ বছরের সুলেমান ছিলেন ভাবী আইএএস) নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরা পথে তাকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলনও করেননি।
এভাবেই যোগী গোটা রাজ্যকে নরকে পরিণত করেছেন বলে দাবি প্রিয়াংকা গান্ধীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:২৯:২১ ৩১৩ বার পঠিত