(বিশ্ব সাদাছড়ি দিবস)
আন্তর্জাতিক সাদাছড়ি দিবস আজ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইজেন হাওয়ার প্রথম ১৯৫১ সালের ১৫ অক্টোবরকে সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস ঘোষণা করেন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধি সংশ্লিষ্ট দিবস এটি। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ দিবসটির অনুমোদন দেয় ১৯৭৫ সালের ৯ ডিসেম্বর। জাতিসংঘ ১৯৮৩-১৯৯২ সালকে প্রতিবন্ধী দশক ঘোষণা করে। আর (ইএসসিএপি) প্রতিবন্ধি দশক ঘোষনা করে ১৯৯৩-২০০২ সালকে । বাংলাদেশে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা-প্রশিক্ষণ পর্যায়ক্রমে অগ্রসর হচ্ছে। শিক্ষা-প্রশিক্ষণ শেষে তারা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদেরকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার কর্মসূচি পালন করছে। এসবের কম-বেশি ফল আসছে। দৃষ্টিহীনরাও তাদের দাবি, অধিকার নিয়ে সোচ্চার। তাদেরও রয়েছে নিজস্ব কতোগুলো এনজিও ধর্মী প্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর তারা র্যালি, আলোচনা, সেমিনারের মাধ্যমে সাদাছড়ি দিবসের কর্মসূচি পালন করে।
দৃষ্টিহীনতা বা অন্ধত্ব মানবজীবনে এক বিশাল বঞ্চনা। অভিশাপ। পৃথিবীর একজন সমর্থ মানুষ হয়েও সে দেখে না পৃথিবীর রূপ। সে হয়ে পড়ে পৃথিবীর, রাষ্ট্রের পরিবারের বোঝা। চিকিৎসা তার দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে না পারলে তার প্রতি রয়েছে পৃথিবীর অনেক দায়িত্ব। এই অন্ধত্ব সমস্যার ক্ষেত্রে মানব সমাজের দায়িত্ব হলো অন্ধ ব্যক্তিকে আধুনিক পদ্ধতিতে শিক্ষাদান বা কারিগরি শিক্ষাদানের মাধ্যমে উপার্জনক্ষম সক্ষম নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা, যাতে তার নির্ভরশীলতা বা করুণার মুখোমুখি হতে না হয়। আর তাই দৃষ্টিহীনদের পুনর্বাসনে চক্ষুষ্মান মানুষের এই দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ব্লাইন্ড ইউনিয়ন এর আহবানে পালিত হয় বিশ্ব সাদাছড়ি দিবস। এক তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশে দৃষ্টিহীন মানুষের সংখ্যা ১০ লাখেরও উপরে। প্রতি বছর কয়েক হাজার ব্যক্তি বিভিন্ন চক্ষু রোগে আক্রান্ত হয়ে সুচিকিৎসার অভাবে অন্ধ হয়ে যায়।
পুষ্টিহীনতার কারণে প্রতি বছর অন্ধত্বের শিকার হচ্ছে কয়েক হাজার শিশু। তাই বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব সাদাছড়ি দিবস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দৃষ্টিহীন মানুষের জন্য যা করণীয় তাতে উদ্বুদ্ধ করা এক মহান দায়িত্ব। সাদাছড়ি দৃষ্টিহীন মানুষের পথ চলার সঙ্গী। সাদাছড়ি হাতে দৃষ্টিহীন ব্যক্তি যাতে রাস্তায় চলাচল করতে পারে সেজন্য প্রয়োজন চক্ষুষ্মান পথিকের সহযোগিতার মনোভাব এবং প্রয়োজনীয় ট্রাফিক আইন। যাদের চিকিৎসার মাধ্যমে অন্ধত্ব দূর করা সম্ভব নয় তাদেরও দিতে হবে সুচিকিৎসা। ছানি রোগ সহজে নিরাময়যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও গ্রাম অঞ্চলের মানুষ ছানি রোগের কারণে অন্ধত্ব বরণ করে। দারিদ্রের কারণে শহরে এসে এদের পক্ষে চিকিৎসা গ্রহণ সম্ভব হয়ে ওঠে না । তাই এক্ষেত্রে সরকার ও সামাজিক সংগঠন গুলোর ওপর বর্তায় অনেক দায়িত্ব ।
(বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস)
১৫ অক্টোবর আরেকটি আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ দিবস বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস ১৯৯৫ সালের বেইজিং নারী সম্মেলনে ১৫ অক্টোবরকে বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস ঘোষনা করা হয়। তার পূর্বে জাতিসংঘ ১৯৮৪ সালে আন্তার্জতিক নারি বর্ষ পালন করে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর অধিকাংশ নারীই গ্রামে বাস করে। চতুর্থ আদমশুমারীর রিপোর্ট মতে বাংলাদেশের ৭৬.১১% লোক গ্রামে বাস করে। তাদের অর্ধেকই নারী গ্রামের নারীরা তাদের অধিকার সম্পর্কে মোটেই সচেতন নয় । বিশ^ গ্রামীণ নারী দিবসের মূল তাৎপর্য হচ্ছে তাদেরকে সচেতন করে তোলা । বাংলাদেশে এ দিবসটি তেমন আয়োজনে পালিত হচ্ছে না। নির্ধারিত গ-িতে দিবসটি এখন পর্যন্ত অনেকটা দায়সারা গোছে পালিত হচ্ছে । বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ গ্রামীণ নারী। ঐতিহ্যগতভাবেই তারা ব্যাপক অবদান রাখছে কৃষি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে। তাদের পরিবার ও গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ নারীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তায় তাদের অবদান বিবেচনা করেই ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবসের আগের দিন ১৫ অক্টোবরকে চিহ্নিত করা হয়েছে বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস হিসেবে । দিবস ঘোষণার সমর্থনকারীদের মধ্যে যাদের নাম উল্লেখযোগ্য তারা হলো, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব এগ্রিকালচারাল প্রডাক্টস (আইএফএপি), নেটওয়ার্ক অব আফ্রিকান রুরাল ওমেন এসোসিয়েশন (এনএআরডব্লিউএ), ওমেনস ওয়ার্ল্ড সামিট ফাউন্ডেশন (ডব্লিউডব্লিউএসএফ) প্রভৃতি।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখা বিশ্বের নারী সমাজ উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে গ্রামীণ নারী সমাজ অবহেলিত । ঘর-সংসারের যাবতীয় কাজ কর্মের পাশাপাশি সামান্য আয়ের জন্য প্রচ- চাপের মুখে কাজ করতে হয় গ্রামীণ নারীকে । আবার কাজ করেও এরা শ্ৰমমূল্য ও সম্মান পায় কম। অত্যাচার, নির্যাতন আর বৈষম্যের মূল শিকার গ্রামীণ নারী সমাজ। এটি অনস্বীকার্য যে গ্রামীণ নারী সমাজ ঐতিহ্যগতভাবেই গ্রামীণ কৃষি ও বীজ ব্যবস্থার উন্নয়নে ও প্রাণ বৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। কৃষি ব্যবস্থার কাঠামো গড়ে উঠেছে নারীদের জ্ঞান পরিশ্রম আর অনুশীলনের মাধ্যমে। বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই ঘরের বীজ দিয়েই দেশের কৃষক সমাজ চাষাবাদে অভ্যস্ত। নারীরা সেই বীজ সংরক্ষণ ও আদান প্রদান প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি পরিবার ও সামাজিক পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকাও বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত সংস্কৃতি। এই সুদৃঢ় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও ক্রমশ স্নান হতে চলেছে। উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও ভেষজ ঔষধ ব্যবস্থায়ও প্রধান ভূমিকা রেখেছে নারী । উৎপাদন ব্যবস্থায়ও নারীদের রয়েছে অসামান্য অবদান। আধুনিক ব্যবস্থায় গ্রামীণ নারীদের এ সব ভূমিকা ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে। বাজারমুখী ও বাজার নিয়ন্ত্রিত কৃষি আর প্রাণ সম্পদের অপরিণামদর্শী ব্যবহারের ফলে প্রাণবৈচিত্র্যের জন্য তা হয়ে পড়ছে হুমকিস্বরূপ । ইতোমধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ উদ্ভিদ-প্রাণ প্রজাতি হারিয়ে গেছে। পরিবেশ, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের সমন্বয় হচ্ছে বিপর্যস্ত। কিন্তু মানবজাতির বসবাস উপযোগী পরিবেশ ও স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য দেশীয় পদ্ধতির চাষাবাদ, বহুমুখী শস্য আবাদ, জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ অত্যাবশ্যক। আর এই ক্ষেত্রে গ্রামীণ নারী সমাজ রাখতে পারে অনবদ্য অবদান ।
১৫৪২ সালের এ দিনে মোগল বাদশাহ আকবর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পুরো নাম ছিলো আবুল ফজল জালাল উদ্দিন আকবর। পিতা হুমায়ুনের মৃত্যুর পর মাত্র তের বছর বয়সে তিনি দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। প্রথম পাঁচ বছর তিনি বৈরাম খানের অভিভাবকত্বে শাসন কার্য পরিচালনা করেছেন। তার রাজত্বকালে, কাশ্মীর, পাঞ্জাব, বাংলা, আহমেদানগর এবং কান্দাহার মোগল শাসনের আওতায় আসে। তিনি দাক্ষিণাত্যকে পোর্তুগীজ শাসনমুক্ত করেন। বাদশাহ আকবর ১৬০৫ সালে মৃত্যু বরণ করেন।
ফার্সি ১৩৬১ সালের এ দিনে আয়াতুল্লাহ আতাউল্লাহ আশরাফি ইস্ফাহানী শহীদ হন। তিনি ছিলেন ইমাম খোমেনী ( রহ ) এর প্রতিনিধি এবং ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কেরমানশাহ’র জুমার ইমাম। আয়াতুল্লাহ আতাউল্লাহ আশরাফি ইস্ফাহানী মেহরাবে নামাযরত অবস্থায় সন্ত্রাসী মোনাফেকীন গোষ্ঠির হামলায় শাহাদাতবরণ করেন। ইসলামী বিপ্লবের গঠন ও বিকাশ প্রক্রিয়ায় কেরমানশাহ’র জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে তিনি যথার্থ নেতৃত্ব দেন এবং শাহের বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত হবার জন্যে জনগণকে অনুপ্রাণিত করেন। এই বিপ্লবী ভূমিকার কারণে তিনি বহুবার গ্রেফতার হন এবং জেল খাটেন। ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের পর ইমাম খোমেনী ( রহ ) এর আদেশে এই স্বনামধন্য আলেমে দ্বীন কেরমানশাহ’র জুমার ইমাম নিযুক্ত হন। অবশেষে ১৪ ই অক্টোবর তারিখে জুমা নামাযের সময় ইসলামের শত্র”দের হাতে ইবাদাতের মেহরাবেই তিনি শহীদ হন।
১৮৯৪ সালের এ দিনে ফরাসি গোলান্দাজ বাহিনীর ইহুদি ক্যাপ্টেন আলফ্রেড দারিফুসের বিচার রাজধানী প্যারিসে শুরু হয়। গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবনের কারাদন্ড দেয়া হয় এবং ফ্রান্স গিনির অন্তর্ভূক্ত ডেভিসল আইল্যান্ডে তাকে নির্জন কারাবাসে প্রেরণ করে। শেষ পর্যন্ত এ সংক্রান্ত তথ্য উদ্ঘাটিত হয় এবং ১৮৯৯ সালে দারিফুসকে গিনি থেকে ফেরৎ আনা হয়। দারিফুসের এই বিচার নিয়ে ১৮৯০ থেকে ১৯০০ সালের প্রথম দশক পর্যন্ত ফ্রান্সে বিতর্ক চলেছে এবং সমগ্র ফ্রান্স দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছিলো। ইহুদিবাদীরা দারিফুসের ঘটনাকে ইউরোপে ইহুদি নির্যাতন হিসেবে তুলে ধরে ব্যাপক প্রচারণা চালায়।
১৮৪৪ খৃষ্টাব্দের এ দিনে জার্মান দার্শনিক, কবি এবং ঊনবিংশ শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী চিন্তাবিদ ফ্রেডারিক নীটৎশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা ছিলেন খ্রীষ্ট ধর্মের যাজক। মাত্র ৫ বছর বয়সে তার পিতা পরোলোকগমন করেন। পরে নীটৎশে মায়ের নজরদারিতে বড় হয়ে উঠেন। বন এবং লিপজিগ বিশ্ববিদ্যায়ে অধ্যায়ন শেষে তিনি মাত্র ২৪ বছর বয়সে বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসিক দর্শনের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত হন। দুর্বল দৃষ্টিশক্তি এবং মাইগ্রেন তাকে সারা জীবন কষ্ট দিয়েছে। ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে তিনি ১৮৭৯ সালে অবসর গ্রহণ করতে বাধ্য হন। দশ বছর পরে তিনি মানসিক অবসাদের শিকার হন এবং ১৯০০ সালে তিন পরলোকগমন করেন। তার লিখা বিখ্যাত গ্রস্থগুলো অন্যতম হলো, দা বার্থ অব ট্রাজেডি। যা ১৮৭২ সালে প্রকাশিত হয়েছিলো। ১৮৮০ দশকে তার বেশির ভাগ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
১৯৪৬ সনের ১৫ ই অক্টোবর ফিল্ড মার্শাল হারম্যান গোয়েরিং আত্মহত্যা করেন। দ্বিতীয় যুদ্ধপরাধের দায়ে তার প্রাণদন্ড কার্যকর কয়েক ঘন্টা আগে তিনি আত্মহত্যা করেন। ১৮৯৩ সালের ১২ ই জানুয়ারী গোয়েরিংয়ের জন্ম হয়েছিলো। তিনি জার্মান বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন এবং তিনি একনায়ক এডলফ হিটলারের উত্তরাধিকার ছিলেন। গোয়েরিং নাৎসী জার্মানীর দ্বিতীয় শক্তিশালী নেতা ছিলেন। দ্বিতীয় যুদ্ধের শেষের দিকে তিনি জার্মান সরকারের কর্তৃত্ব নিজ হাতে তুলে নেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলেন। হিটলার আগে ভাগে এ খবর পেয়ে যাওয়ায় গোয়েরিংয়ের সকল পদবী ও দায়িত্ব কেড়ে নেন এবং তাকে গ্রেফতার করার জন্য এস এস বাহিনীকে নির্দেশ দেন। তবে এই আদেশ বাস্তবায়নের আগেই গোয়েরিং ১৯৪৫ সালে মার্কিন বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করেন। নাৎসী জার্মানীর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত নুরেনবার্গ আদালতে গোয়েরিংয়ের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাকে ফাসিতে ঝুলিয়ে প্রাণদন্ডের রায় দেয় এই আদালত। প্রাণদন্ড বাস্তবায়নের মাত্র দুই ঘন্টা আগে বিষ পানে গোয়েরিং আত্মহত্যা করেন।
১৯১৭ সালের এ দিনে কথিত রহস্যময়ী জার্মান গোয়েন্দা মাতা হারির প্রাণদন্ড কার্যকর করা হয়। ফরাসি কর্তৃপক্ষ মাতা হারির বিচারকালে গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগ প্রমাণ করার মতো জোরালো কোনো আলামত বা সাক্ষী উপস্থাপন করতে পারেনি। উপরোন্ত মাতা হারি দাবি করেন, তিনি ইচ্ছা করেই জার্মানীর হাতে গুরুত্বহীন তথ্য তুলে দিয়েছেন। কিন্তু ফরাসি সরকার রণাঙ্গনের পরাজয় থেকে ফ্রান্সের নাগরিকদের দৃষ্টি ফেরানোর জন্য মাতা হারিকে প্রাণদন্ড দেয়ার জন্য বধ্যপরিকর হয়ে উঠে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ চলাকালে ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে তার এই প্রাণদন্ড কার্যকর হয়। গোয়েন্দা হিসেবে মাতা হারি কতোটুকু সফল হয়েছিলেন তা নিয়ে সংশয় থাকলেও মাতা হারির নামকে ঘিরে নানা রহস্যের সৃষ্টি করা হয়েছে।
ইতালি ও স্পেন গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডার বা খ্রিস্টীয় সাল প্রবর্তিত। এর ফলে ৫ অক্টোবর ১৫ অক্টোবর হয়ে যায় (১৫৮২)
জার্মানদের পক্ষে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে ডাচ নৃত্যশিল্পী মাটা হ্যারিকে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে হত্যা (১৯১৭)
ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে লাভালের মৃত্যুদ- কার্যকর (১৯৪৫)
চীনের প্রথম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা (১৯৬৪)
রক্ষণশীলদের পরাজিত করে ১৩ বছর পর ব্রিটেনের লেবার পার্টির ক্ষমতারোহন (১৯৬৪)
নিকিতা ক্রুশ্চেভ সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে অপসারিত (১৯৬৪)
সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদুর রশিদ আলী শেরমারকি আততায়ীর গুলিতে নিহত (১৯৬৯)
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর প্রথম রাশিয়া ও কিউবার মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর (১৯৯৫)
অভ্যুত্থানের দুদিন পর পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি এবং জেনারেল মোশাররফের নিজেকে দেশের প্রধান নির্বাহী ঘোষণা (১৯৯৯)
বাংলাদেশ সময়: ১৩:১১:৪২ ৫২৪ বার পঠিত