
ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন রাজ্যে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যের সাধারণ জনতা তো বটেই তাদের প্রতিনিধিরাও বিতর্কিত এই আইন বাতিলের দাবিতে বিধানসভায় বেশ সরব। প্রথম রাজ্য হিসেবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলে বিধানসভায় প্রস্তাব ইতোমধ্যে পাশ করেছে কেরালা। এবার দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে তাদের পাশে নাম লেখালো পাঞ্জাব। শুক্রবার পাঞ্জাব বিধানসভায় প্রস্তাবটি পাশ হয়। খবর এনডিটিভি’র
বিধানসভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন মন্ত্রী ব্রহ্ম মহিন্দ্রা। তিনি বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে সংসদে পাস হওয়া নতুন নাগরিকত্ব আইন পাঞ্জাবসহ দেশজুড়ে ক্ষোভ ও সামাজিক অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে। এটা স্পষ্ট যে সিএএ দেশের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি, যা সংবিধানের প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য, তার পরিপন্থী। ফলে বিধানসভা থেকে সিএএ বাতিলের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে ভারত সরকারকে। যাতে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদানের মাধ্যমে কোনো বৈষম্যকে এড়ানো সম্ভব হয় এবং ভারতের সমস্ত ধর্মীয় সংগঠনের জন্য আইনের সাম্য নিশ্চিত করা যায়।’
এ সময় তিনি জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) নিয়েও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এনআরসি ও তার সম্ভাব্য প্রথম ধাপ এনপিআর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে দেশের এক শ্রেণির নাগরিককে বঞ্চিত করার জন্য।’
এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর কেরালা বিধানসভায় সিএএ বিরোধী বিল পাশ হয় এবং ১৪ জানুয়ারি দেশের প্রথম রাজ্য সরকার হিসেবে সিএএকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম কোর্টে এই আইনের বিরোধিতায় ইতোমধ্যে ৬০টি পিটিশন জমা পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)। এই আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১১:২৯ ১৫৫ বার পঠিত