
গত বছরের ৫ আগস্ট ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরজুড়ে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা জম্মু-কাশ্মীর।
বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন লাখো কাশ্মীরি। বিক্ষোভ বানচাল করতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনসহ ১৪৪ ধারা জারি করে ভারত সরকার। এরই মধ্যে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহসহ অনেক রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
বন্দিত্বের ছয় মাস কাটতেই তাদের বিরুদ্ধে গণনিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করেছে কেন্দ্র।
গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারছিলেন না সানা ইলতিজা জাভেদ।
পরে ৫ সেপ্টেম্বর আদালতে এক পিটিশনের জবাবে সুপ্রিমকোর্ট তাকে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেন।
গতকাল শুক্রবার মেহবুবার কন্যা ইলতিজা জানিয়েছেন, রুটির ভেতরে চিঠি লিখে বার্তা আদান-প্রদান করেছেন মায়ের সঙ্গে।
মায়ের টুইটার থেকে ইলতিজা জানিয়েছেন, মা মেহবুবাকে বন্দি করার পরের সপ্তাহটি কেটেছিল চরম উদ্বেগে। তার পরে মায়ের লেখা একটি চিঠি হাতে আসে। যে টিফিন বাক্সে বাড়ি থেকে খাবার পাঠানো হয়েছিল, তার ভেতরে চিঠিটি লিখে পাঠিয়েছিলেন মেহবুবা।
সে সময়ে মায়ের সোশ্যাল মিডিয়া ইলতিজা চালাচ্ছিলেন। পিডিপি নেত্রী চিঠিতে জানান, ‘আমি সোশ্যাল সাইট ব্যবহার করি, সেটা এরা চায় না। আর কেউ আমার হয়ে এই কাজ করলে, পরিচয় ভাঁড়ানোর দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হতে পারে।’
কীভাবে তার জবাব দেয়া যায়? ইলতিজা জানাচ্ছেন, তার দাদি সেই কৌশল বের করেন। কাগজে উত্তরটি লিখে ছোট করে মুড়ে আর একটি কাগজ দিয়ে সিল করে তার পরে একটি রুটির লেচির মাঝখানে ভরে দেয়া হয়। সেই রুটি সেঁকে বন্দিশালায় পাঠিয়ে দেয়া হয় মায়ের কাছে।
মেহবুবা-কন্যা জানিয়েছেন, উপত্যকা জুড়ে নেট পরিষেবা বন্ধ থাকলেও কী ভাবে যেন তাদের বাড়ির ব্রডব্যান্ড কাজ করেছে। তাই সোশ্যাল সাইটে সক্রিয় থাকতে পেরেছেন তিনি। ইলতিজা এই টুইটটি করার সময়ও মেহবুবা-ওমরের বিরুদ্ধে গণনিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হয়নি। সূত্র:যুগান্তর
বাংলাদেশ সময়: ১৪:০৮:২৮ ২০৭ বার পঠিত