
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তুরস্কের আংকারায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং মহান শহীদ দিবস উদযাপিত হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী’র নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে দূতাবাস মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। বাণী পাঠের পর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং মহান শহীদ দিবস ও ভাষা শহীদদের নিয়ে বিভিন্ন স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বিকালে আঙ্কারাস্থ ওরান শহরের মোনেক হোটেল মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং মহান শহীদ দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গুমোসানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. হালিল ইব্রাহীম জেইবেক।
তিনি তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রযাত্রার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে আংকারায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, সামরিক উপদেষ্টা, তুরস্কের উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ ও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিসহ তুরস্কে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীগণ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত তার স্বাগত বক্তব্যের শুরুতেই ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার অসামান্য নেতৃত্বগুণে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।
উক্ত অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলনের উপর নির্মিত একটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, কলাম্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, তুর্কমেনিস্থান দূতাবাসসহ তুরস্কের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন তাঁদের নিজস্ব ভাষায় পরিবেশনা উপস্থাপন করে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৩:৪০ ২১৭ বার পঠিত