
জামালপুরের বকসিগঞ্জের ধানুয়াকামালপুর স্থলবন্দরে রাজস্ব ও শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে সাবেক কাস্টম কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় মো. ইমারুল হক নামের এক ব্যবসায়ীকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) দায়েরকৃত মামলায় মঙ্গলবার (৩ মার্চ) দুপুরে জামালপুরের স্পেশাল জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির এই রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-ধানুয়াকামালপুর স্থলবন্দরের সাবেক কাস্টম কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মুখী গ্রামের মৃত আছমত আলীর ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। অপরজন মেসার্স শেরপুর ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী ও দিনাজপুরের হাকিমপুর এলাকার বাসিন্দা আফাজ উদ্দিনের ছেলে মো. ইমারুল হক। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
দুদকের আইনজীবী মো. লুৎফর রহমান রতন জানান, স্থলবন্দরে রাজস্ব ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ১০ লাখ ২২ হাজার ৪৫৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক ২০০৩ সালের ৬ আগস্ট কাস্টম কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ও ব্যবসায়ী মো. ইমারুল হকের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। দুদক তদন্ত করে ২০১০ সালের ১৫ জুন তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। আদালতে দু’জনের পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রাজস্ব ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ওই টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলে রফিকুল ইসলামকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয় আদালত। এছাড়া ৫ লাখ ১১ হাজার ২২৮ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। এ ঘটনায় মো. ইমারুল হককে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ ১১ হাজার ২২৮ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৯:৪১ ২০৬ বার পঠিত