মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহবান

প্রথম পাতা » আইন আদালত » মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহবান
সোমবার, ৫ মার্চ ২০১৮



---পারিবারিক মূল্যবোধ একটি মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠনে মূল অবদান রাখে। ব্যক্তিত্বহীনরা সমাজের বোঝা। মাদক রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারের সাথে আসক্ত ব্যক্তিকেও ধ্বংস করছে। সর্বাবস্থায় মাদক ও সন্ত্রাসকে না বলতে হবে।

মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী ছাত্র সমাবেশ ও কনসার্ট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম(বার)।

আজ সকাল ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম(বার), পিপিএম। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি আরো বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের বেশ কয়েকজন সাহসী সহকর্মী জীবন দিয়েছে। তবুও অপশক্তির কাছে আমরা মাথা নত করিনি। মাদককে শুধু একটি পুলিশ বিষয়ক সমস্যা মনে করি তাহলে একে নির্মূল করতে সমস্যা হবে। এটা আমাদের সকলের সমস্যা। সবাই মিলে এর বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। মাদক একটি সামাজিক সমস্যা। এই সমস্যাকে সামাজিকভাবে সমাধান করতে হবে। সব শ্রেণীকে নিয়ে এই মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলে নির্মূল করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠনে পরিবারের পরে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্ধু ও বসবাসের পরিবেশ। সবকিছুর মিলিত মূল্যবোধ নিয়ে একটি ব্যক্তিত্ববান ব্যক্তি গড়ে উঠে। মাদকাসক্তরা নিজেদের সাথে পরিবারকেও ধ্বংস করছে।

ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, তোমরা আগামীর ভবিষ্যৎ। তোমাদের কাছ থেকে জাতি অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। বাবা-মা তোমাদেরকে ভালো মানুষ হতে উচ্চ শিক্ষার জন্য এখানে পাঠিয়েছেন। অনেক কষ্ট করে তোমাদের পড়ালেখার খরচ যোগাচ্ছেন । এমন কোন কাজ করবে না যাতে তাঁরাসহ পুরো জাতি লজ্জিত হয়। সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ আপনাদের কাছে আমরা এসেছি। জঙ্গিবাদকে আমরা যেভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পেরেছি তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় শত্রু মাদক। এটি ক্যান্সারের চেয়েও ভয়াবহ। আর আমাদের দ্বিতীয় শত্রু হচ্ছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ। যে সন্তান সমাজ ও দেশের সম্পদ হতে পারতো সেই সন্তান মাদকাসক্তি হয়ে সমাজ ও দেশের বোঝায় পারিনত হচ্ছে। পুলিশের একার পক্ষে মাদক নির্মূল করা কঠিন। সকলের প্রচেষ্ঠায় মাদক নির্মূল করা সম্ভব। মাদক ও সন্ত্রাস দমন করতে হলে দরকার সঠিক পারিবারিক ও ধর্মীয় অনুশাসনের।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সকলকে দায়িত্বশীলতার সাথে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে থেকে কাজ করতে হবে। আমরা জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে দিয়েছি। যে জাতি রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে সে জাতি সন্ত্রাস ও মাদককে এদেশে কখনও থাকতে দিবে না। আপনাদের সাথে নিয়ে আমরা মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।

সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, মাদক একটি বড় ধরনের খারাপ নেশা। শুধুমাত্র পুলিশি ব্যবস্থা ও আলোচনা দিয়ে নেশামুক্ত করা যাবে না। সৃষ্টির লগ্ন থেকে মানুষ কোন না কোন নেশায় আসক্ত। মাদক একটি খারাপ নেশা। এই নেশাকে দমন করতে হলে অন্য একটি নেশাতে আকৃষ্ট করতে হবে। নতুন নেশা হতে পারে বই পড়া, খেলাধুলা, শারীরিক চর্চা, সাংস্কৃতি চর্চাসহ বিভিন্ন কিছু। ছাত্র-শিক্ষকদের পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল করতে হবে।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম মনিরুজ্জামান, ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল আলম বিপিএম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম)কৃষ্ণ পদ রায় বিপিএম, পিপিএম(বার), লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৫:১২   ৪৭৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আইন আদালত’র আরও খবর


এমসি কলেজে দলবেঁধে ধর্ষণ: আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
পিকে হালদারের সহযোগী শঙ্খ ব্যাপারী কারাগারে
নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফের রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি
আর্থিক বিচারে এখতিয়ার বাড়লো সিভিল কোর্টের
সাবেক বিচারক শাহবাগ থানায় মেয়ের বিরুদ্ধে জিডি করলেন
কারাগারে ফরিদপুরের দুই ইউপি চেয়ারম্যান
নারী সাক্ষীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় বিচারক প্রত্যাহার
রাজধানীতে মা-ছেলে হত্যা মামলায় স্বামীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা
মাদক মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিচার শুরু

আর্কাইভ