পাকিস্তানকে ভারতের মোক্ষম জবাব

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » পাকিস্তানকে ভারতের মোক্ষম জবাব
মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল ২০২০



---

কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে বরাবরই উষ্ণ সম্পর্ক ভারত-পাকিস্তানের কিন্তু সম্প্রতি পাকিস্তান সীমান্ত পথে আসা জঙ্গিদের হামলায় নিহত হয় ভারতের বিশেষ বাহিনীর ৫ কমান্ডো। তারপর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা বাড়তে থাকে কাশ্মীর সীমান্তে। পাকিস্তানের আশ্রয়ে বেড়ে ওঠা এই সন্ত্রাসীদের হামলার জবাবে পাকিস্তান সীমান্ত জুড়ে গড়ে তোলা সন্ত্রাসবাদী এই গোষ্ঠীদের লঞ্চিং প্যাড ধ্বংস করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে ভারত। আর সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী বেশ কিছু লঞ্চিং প্যাড ধ্বংস করে দেয়া হয়। এ ঘটনায় নিহত হয় ৫ জঙ্গি। এই জঙ্গিদের ওপর হামলার মাধ্যমে পাকিস্তানের দুষ্কর্মের মোক্ষম জবাব দেয় ভারত।

ভারতীয় সামরিক সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্ত পাশে থাকা (এলওসি বা লাইন অব কন্ট্রোলের নিকটবর্তী) বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী লঞ্চ প্যাড গত কয়েকদিনে ভারতীয় সেনাবাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছে। ভারত বরাবরই এই ব্লক জুড়ে সন্ত্রাসবাদী লঞ্চ প্যাড এবং গোলাবারুদ রাখার জায়গাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের ‘দুষ্কর্ম’র বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এসেছে। সম্প্রতি কেরান সেক্টরে একটি মারাত্মক অপারেশনে একদল অনুপ্রবেশকারীদের অপসারণ করতে গিয়ে নিহত হন পাঁচ সেনা কমান্ডো। ভারত সীমান্তের নিকটবর্তী অঞ্চলে পাকিস্তানের সীমান্তে এই জঙ্গি লঞ্চিং প্যাড ও গোলাবারুদ রাখার মাধ্যমে পাকিস্তান বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে বলে জানায় ভারত। ভারত গত বছরের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ প্রত্যাহার এবং অঞ্চল দুটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে পাকিস্তান সীমান্ত থেকে হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। পাকিস্তান প্রায়ই জঙ্গিদের ভারত সীমান্তে ঠেলে দিয়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। অন্যদিকে ভারতীয় সৈন্যরাও তাদের নীতিমালা অনুসরণ করে সমুচিত জবাব দিচ্ছে পাকিস্তানিদের।

এপ্রিল মাসের ১০ তারিখে ভারতীয় সেনাবাহিনী উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার কেরান সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাক সশস্ত্র জঙ্গিদের গোলাবারুদ ডাম্প এবং লঞ্চ-প্যাড ধ্বংস করে। কাশ্মীর নিউজ অবজারভার (কেএনও) প্রকাশিত খবরে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়ার বরাত দিয়ে বলা হয়, পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের প্রতিশোধ হিসেবে ভারতীয় সেনারা এলওসি’র (লাইন অব কন্ট্রোল) অপরপাশে থাকা জঙ্গিদের লঞ্চ-প্যাড এবং গোলাবারুদ ডাম্প ধ্বংস করে দিয়েছে। কেএনও-এর বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, কেরান সেক্টরে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পথ অবলম্বন করেছে এবং বেশ কার্যকরভাবে এবং শক্তিশালী হাতে তার প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে থাকা প্রতিটি জঙ্গি লঞ্চ-প্যাড এবং গোলাবারুদ ডাম্প ধ্বংসের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল যা পূর্ণ করতে পেড়েছি। মুখপাত্র আরো দাবি করেন, শত্রুপক্ষ (পাকিস্তান) সীমান্তে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়েছি আমরা।

ধারণা করা হচ্ছে, নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) সঙ্গে সন্দেহভাজন রেসিসট্যান্ট ফ্রন্ট (টিআরএফ) এর যোগসূত্র রয়েছে। লস্কর-ই-তৈয়বার মাধ্যমে এই নতুন বাহিনী সংগঠিত করা হচ্ছে বলে তথ্য রয়েছে। উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারার কেরান সেক্টরে ৫ এপ্রিল এক মুখোমুখি লড়াইয়ের পরে টিআরএফ পরিচিতি লাভ করে। কেননা এই সংঘর্ষে মারা যায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর এলিট ট্রুপস এর পাঁচ সৈনিক। এই এলিট ট্রুপস ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দলেরও অংশ ছিলো। ১-২ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে ভারতে লুকিয়ে প্রবেশ করা এলইটি’র অন্তর্ভুক্ত পাঁচ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছিল তারা। ভারতীয় আইন প্রয়োগকারী অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানান, এই বাহিনী যে এলইটি’র একটি অংশ তা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে। এটি ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) দ্বারা যাচাই-বাছাই এবং আরো নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর জন্য চালু করা হয়েছে। ২১-২৬ জুন বেইজিং এ অনুষ্ঠিত এফএটিএফ এর একটি বৈঠকে সন্ত্রাসী তহবিলের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পারফরমেন্স নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো অর্থ যোগান দেয়া সংস্থাগুলোকে খুঁজে বের করা জন্য তৈরি করা বাহিনী অর্থের এই চ্যানেলটি খোঁজার চেষ্টা করে।

কাশ্মীরের কুপওয়ারা বন্দুক যুদ্ধে নিহত সন্ত্রাসীদের তিন জন হলেন সাজাদ আহমদ, আদিল হুসেন এবং উমার নাজির। সন্দেহ করা হয় যে তারা ২০১৮ সালে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল এবং বন্দুক যুদ্ধে নিহত হবার আগের রাতে ভারতের কাশ্মীর অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে। ২৩ শে মার্চ, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ একই সংগঠনের চার অভিযুক্ত সদস্যকে গ্রেফতার করে এবং তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জব্দ করে। পুলিশ তাদের পরিচয় শফকাত আলী, আহতেশাম ফারুক, নিসার আহমদ এবং মুসাইব হাসান বলে চিহ্নিত করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, তারা মোবাইল ভিত্তিক চ্যাট অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে পাকিস্তান ভিত্তিক হ্যান্ডলারের কাছ থেকে নির্দেশনা পেয়েছিল। অভিযুক্তকে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে স্থানীয়দের সংযুক্ত করার নির্দেশও দেয়া হয়েছিলো।

রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) আসলে লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) এর একটি নতুন নাম। ইসলামাবাদ-ভিত্তিক এলইটি’র প্রচারণার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্লাটফর্ম ‘তাহরীক আজাদী’ পরিচালনাকারীরাই টিআরএফ’র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করছে। তাহরিক-ই-আজাদীর নাম ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এলইটি’র রাজনৈতিক শাখায় প্রকাশিত হয়েছিল। পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী দলগুলির মোডাস অপারেন্ডি হিসাবে জামায়াত-উদ-দাওয়া (জেউডি) নতুন নামে এই বাহিনীটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। টিআরএফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত বার্তার নিজেদের কাশ্মীর-ভিত্তিক একটি আদিবাসী গোষ্ঠী হিসাবে প্রচার করে। আর তাদের এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি ফরেনসিক রিপোর্ট অনুসারে স্পষ্টভাবে বলা যায় টিআরএফ এলইটির একটি শাখা ছাড়া কিছুই নয়। টিআরএফের ফেসবুক পেজ এ এডমিন বা পরিচালকেরা ২০১৯ সালের আগস্টে ইসলামাবাদের ডি চৌকায় ভারত বিরোধী বিক্ষোভ করেছিলো। টিআরএফের প্রচারের ভিডিওতে নিহত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আহমেদের এবং টিআরএফ’র নেতা ‘কমান্ডার হামজা’র একাধিক ভিডিও পাকিস্তানের ইন্টারনেট থেকে পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট তৈরি এই গ্রুপটির আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে দেখা যায় তা ইসলামাবাদে তৈরি।

তবে সম্প্রতি ভারতে নিয়মিত অনুপ্রবেশের জন্য মুখিয়ে রয়েছে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো। ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৯ সালে ১৩০ জনের কিছু বেশি সন্ত্রাসী ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিলো। সেখানে চলতি বছরের শুধু জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ৩২ জন প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে মার্চ এপ্রিলে প্রবেশ করেছে আরো আধা-ডজনের বেশি সন্ত্রাসী যারা মারা গেছে বন্দুকযুদ্ধে।

ভারতের সামরিক সূত্রে প্রাপ্ত সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, পাকিস্তানি সেনারা ২০১৬ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩ হাজার ২০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে যা গত ১৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে আগস্টে কাশ্মীর বিষয়ে নতুন আইন পাশ হবার পর ১৫৬৫ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে। ২০১৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ২ হাজার ৯৩৬ বার।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় লড়াই করছে পাকিস্তান। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনাকারীদের থেকে পাওয়া দিল্লির নতুন গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে পাকিস্তানের ১৪ টি অপারেশনাল লঞ্চ প্যাড থেকে কাশ্মীরে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা সন্ত্রাসীর সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। ৪৫০ সন্ত্রাসীর মধ্যে লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) থেকে ২৪৪, জয়শ-ই-মোহাম্মদ (জেএম) থেকে ১২৯ এবং হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম) থেকে ৬০ জন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আল বদরের মতো ছোট গ্রুপগুলি থেকে বাকী অংশ প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই সন্ত্রাসীদের বেশিরভাগই পাকিস্তান অধিকৃত অঞ্চল থেকে একাট্টা করা হয়েছে।

সুরক্ষা সংস্থাগুলির সাথে গোয়েন্দা তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে ১৬ টি সন্ত্রাসী শিবিরের মধ্যে ১১ টি পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে), ২ টি পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও তিনটি খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপিকে) অঞ্চলে কার্যকর রয়েছে। পিওকে নিয়ে চালানো ১১ টি সন্ত্রাসী শিবিরের মধ্যে সাতটি হাইব্রিড ক্যাম্প যেখানে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপ ও তাদের প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ‘এই জাতীয় মিশ্র সন্ত্রাসী শিবিরগুলির অস্তিত্ব প্রমাণ করে যে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ কোন শক্তি তাদের তদারকি করেছে’- দিল্লির সন্ত্রাস বিরোধী এক কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।

অন্য তিনটি শিবির এলইটি প্রশিক্ষণের জন্য এবং একটি হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম) গ্রুপকে প্রশিক্ষণের জন্য নিবেদিত। কেপিকে অঞ্চলে এইচএম দুটি শিবির পরিচালনা করে এবং জয়শ-জেএম একটি চালায়। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে এলইটি এবং জেএম একটি করে শিবির ভাগ করে নিয়েছে। লঞ্চ প্যাডগুলিতে সন্ত্রাসবাদী শক্তিবৃদ্ধিগুলি সাম্প্রতিক কিছু বিপর্যয়ের কারণে কাশ্মীরের সন্ত্রাসীদের শক্তি বৃদ্ধির জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। অনুমান করা হয় যে কাশ্মীর উপত্যকায় প্রায় ২৪২ জন সন্ত্রাসী সক্রিয় রয়েছে, যার মধ্যে স্থানীয় ১৩৮ জন এবং ১০৪ জন বিদেশী। প্রতি ১০ জন বিদেশী সন্ত্রাসীর মধ্যে ৬ জন লস্কর-ই-তৈয়বার সাথে যুক্ত; অন্য চারটি জাইশের সাথে যুক্ত। ভারতীয় আধিকারিকরা বলেন, কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি বাড়াতে পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) সারা বছর ধরে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। গত বছরের আগস্টে ভারত ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পরে এটিই প্রথম গ্রীষ্ম এবং এর পর থেকে রাস্তায় প্রতিবাদ ও সহিংসতা প্ররোচিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এমনি দাঁড়িয়েছে যে, পাকিস্তানের আইএসআই কেবলমাত্র শ্রীনগর সেক্টর, রাজৌরি-পুঞ্চ সেক্টর এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের জম্মু সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ৮৬ টি লঞ্চিং প্যাড তৈরির জন্য কাজ করছে যার মধ্যে ১৪টি কার্যকর হয়ে গেছে। শ্রীনগর সেক্টরে ৫১টি প্যাডের মধ্যে ১০টি এলইটি, জেএম, এইচএম, আলবদর এবং অন্যান্য বিভিন্ন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করে। রাজৌরি-পুঞ্চ সেক্টরে, এলওসি জুড়ে ১৩ টি প্যাডের মধ্যে তিনটি দখল করা হয়েছে এবং চারটি প্যাডের মধ্যে একটি সন্ত্রাসীরা দখল করেছে। জম্মু সেক্টরের লঞ্চিং-প্যাডে মূলত এলটিও, জেই এবং এইচএম সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত।

সাম্প্রতিক ইনপুটগুলি যদি বিশ্বাস করা হয় তবে ১১ই এপ্রিল কুলগাম জেলায় এনকাউন্টার করা হয়েছিল এবং সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে একটি পিক্কা এলএমজির সাথে আইইডি সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছিল। ১৭ই এপ্রিল শোপিয়ানের দাইরু এলাকায় সেনা সহায়তায় ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর একটি দল (সিআরপিএফ) দু’জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছিল। ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ানে আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের শীর্ষ কমান্ডারসহ চার সন্ত্রাসী মারা গিয়েছিল। আবার ২৫ শে এপ্রিল পুলওয়ামার আওন্তিপুরায় ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনীর সাথে লড়াইয়ে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছিল। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ২৭শে এপ্রিল কুলগামে কাজীগুন্ডের লোয়ার মুন্ডা এলাকায় চলমান লড়াইয়ে আরও তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে।

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলার জন্য ভারত ২৫ শে মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ছিল এবং সামনে ৩ মে পর্যন্ত বন্ধ বাড়ানো হয়েছে। পাকিস্তানে প্রায় ১২ হাজার ৭০০ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত। মারা গেছে প্রায় ২৬৮ জনের বেশি। এমন অবস্থায় নিজেদের ডুবতে থাকা অর্থনীতি এবং করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ব্যর্থ নেতৃত্ব থেকে চোখ সরিয়ে নিতে কাশ্মীরে জিহাদ চালিয়ে যাওয়া ছাড়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর করার কিছু নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৯:৩৯   ১৪৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আন্তর্জাতিক’র আরও খবর


কানাডায় এলোপাথাড়ি গোলাগুলি, চার বাংলাদেশি আহত
মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে চায় জাতিসংঘ - গুতেরেস
ব্রাজিলে করোনায় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৩ জনের মৃত্যু
করোনায় বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ২২ লাখ ৭৬ হাজার ছাড়াল
ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় হার লিভারপুলের
ফেসবুক বন্ধ করল মিয়ানমারে সামরিক জান্তা
করোনার বিরুদ্ধে ৯২ শতাংশ কার্যকর স্পুটনিক ভি
করোনার ছোবলে থামছে না প্রাণহানি, মৃত্যুর সংখ্যা ২২ লাখ ৪৭ হাজার
মিয়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আজ
তুর্কি নিয়ন্ত্রিত উত্তর সিরিয়ায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত

আর্কাইভ