হাতকড়ার সাথে কোমরে রশি বেধে আদালতে হাজির করা হলো জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে। সোমবার আড়াইহাজারের একটি মামলায় তাকে আদালতে নিয়ে আসা হয। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে তাকে পুলিশ আড়াইহাজার থানার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় মামুন মাহমুদের কোমড়ে দড়ি বেঁধে গাড়িতে তোলে পুলিশ ।
চোরের মত কোমড়ে দড়ি বেধে আদালতে হাজির করায় চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মসীদের মাঝে।
তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, একজন অধ্যাপককে এভাবে আদালতে নেয়া পুলিশের একটি ন্যাক্কারজনক কাজ। তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। তারা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রশাসন কার্যত আওয়ামীলীগের একটি অংশ হিসাবে কাজ করছে।এ সরকারের কাছে শিক্ষকদের সম্মান রক্ষা করাও দুস্কর হয়ে পড়েছে।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ২টি নাশকতা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে গতকাল মঙ্গরবার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মিজানুর রহমানের আদালত। এর আগে আড়াইহাজার থানার ১ মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। বন্দর থানার আরো ১ মামলায় গ্রেফতার ও ১০ দিনের রিমান্ড শুনানী অপেক্ষমান আছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারী জামিনে কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় তাকে কারাফটক থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ । এর পর আজ পর্যন্ত ৫ টি পেন্ডিং মামলায় তাকে গ্রেফতার ও ৪ মামলায় মোট ৮ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
তীব্র প্রতিবাদ : জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও একটি কলেজের অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে কোমড়ে দড়ি বেধে আদালতে উপস্থিত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ও তার অঙ্গসংগঠন। প্রতিবাদ বার্তায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, সেই দিন খুব দূরে নয় যেদিন বিএনপির নেতাকর্মীর কোমড়ের রশি আ’লীগের গলার ফাঁসিতে পরিনত হবে ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, মামুন মাহমুদ একজন কলেজ অধ্যাপক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরেও তাকে কোমড়ে রশি বেধে আদালতে আনায় আমাদের কোন লজ্জা হয়নি, লজ্জা পেয়েছে গণতন্ত্র। অপর এক প্রতিবাদ বার্তায় মহানগর যুবদলের আহবায়ক ও নাসিক কাউন্সিলার মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সরকারের আজ্ঞাবহ প্রশাসন মামুন কে হেনস্থা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, শত জুলুম বা হেনস্থা করে আমাদের গণতন্ত্র পুরুদ্ধারের সংগ্রাম থেকে বিচ্যূত করা যাবে না।আমরা জুলুম অত্যাচার সহ্য করার জন্য প্রস্তুত আছি ইনশাল্লাহ। মামুন মাহমুদকে হেনস্থার বিচার ও আটককৃত মহানগর যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন, আকতার হোসেন অপু, মিজানুর রহমান,সেলিম মিয়া সহ সকল রাজবন্ধীর অবিলম্বে মুক্তি দাবী করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০:২৮:১২ ৪৭৫ বার পঠিত