
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় এক ব্যক্তির পকেটে ইয়াবা দিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে ভোজেশ্বর ফাঁড়ির এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় পুলিশের সোর্সকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়েছেন ভোজেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম আজাদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চামটা ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামের সুলতান শেখ গোলার বাজার থেকে বাজার করে তার মেয়েকে নিয়ে রিকশাযোগে তেলীপাড়া বাড়িতে ফিরছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর সুলতান শেখের রিকশার গতিরোধ করে ১০০ টাকা চায় পুলিশের সোর্স খ্যাত শাহাদাত হোসেন। এ সময় সুলতানের পকেটে হাত ঢুকিয়ে শাহাদত বলে আপনার পকেটে ইয়াবা আছে।
এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে ছিল ভোজেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল তরিকুল ইসলাম। তিনি সুলতান শেখকে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে ফতেজঙ্গপুর বাজারের পরিত্যক্ত এক ভাঙ্গারির দোকানে নিয়ে যায়। এরপর তার কাছে থেকে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চান। এ সময় সুলতানের ছোট মেয়েকে একটি গাড়িতে করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
সুলতান শেখ উপায়ান্তর না পেয়ে তার বাড়িতে স্ত্রীর নিকট ফোন করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলে। স্ত্রী খুকু মনি বেগম নিজের কানের দুল বন্ধক রেখে এসে সাত হাজার টাকা নিয়ে এসে কান্নাকাটি করে।
এ সময় স্থানীয় লোকজন পুলিশ সদস্য তারিকুল ইসলামকে আটক করে নড়িয়া থানা ও ভোজেশ্বর ফাঁড়িতে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সদস্য তরিকুলকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে। সোর্স শাহাদাত হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সুলতান শেখ এর স্ত্রী খুকুমনি বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে আমার স্বামীকে আটক করে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে।
কনস্টেবল তরিকুল ইসলামের মোবাইলে বারবার কল করলে এক নারী ফোন ধরে পরিচয় পেয়ে কেটে দেয়।
এ ব্যাপারে নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, স্থানীয় পুলিশের সোর্স শাহাদাত হোসেন পুলিশের নাম করে চাঁদাবাজি করেছে। পরে ভোজেশ্বর ফাঁড়ির কনস্টেবল তরিকুল ইসলাম গিয়ে সোর্সের পক্ষ নেয়। এ কারণে তাকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোর্সকে আটক করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নড়িয়া সার্কেল এমএম মিজানুর রহমান বলেন, ফাঁড়ির ইনচার্জকে না জানিয়ে ওই বাজারে যাওয়ায় পুলিশ সদস্য তরিকুলকে ক্লোজ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৮:৩০ ২০১ বার পঠিত