
১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ। খেলতে নেমেই বড় ধরনের চমক দেখান টাইগাররা। ক্রিকেট পরাশক্তি পাকিস্তানকে ৬২ রানের বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা দেন তারা। সেই পরাজয়ের স্মৃতি এখনও ভোলেননি ওই ম্যাচে পাক ব্রিগেডকে নেতৃত্ব দেয়া ওয়াসিম আকরাম।
গেল মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের ধারাবাহিক লাইভ শোতে উপস্থিত ছিলেন ওয়াসিম। ১ ঘণ্টা ১৭ মিনিটের সেই আড্ডায় তাদের সঙ্গে ছিলেন সাবেক তিন টাইগার– আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও খালেদ মাসুদ পাইলট। এ ত্রয়ীর হাত ধরে ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জেতে বাংলাদেশ। ফলে দেশের ক্রিকেটের মোড় ঘুরে যায়।
চারজনকে নিয়ে অনেক স্মৃতি রোমন্থন করেন তামিম। ‘৯৯ বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ উঠতেই ওয়াসিম বলেন, ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে গেলে আমি বলব– সেদিন আমাদের চেয়ে অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই মেগা ইভেন্টে বেশিরভাগ ম্যাচে আমরা প্রথমে ব্যাট করেছি। কিন্তু সেটিতে রান তাড়ার অনুশীলন করতে চেয়েছিলাম।
তিনি বলেন, আমরা ব্যাটিং ভালো করতে পারিনি। কারণ বাংলাদেশ ভালো বল করেছিল। মিডিয়াম পেস বলে সুইং ভালো হচ্ছিল, ডিউ ফ্যাক্টরও ছিল। এটি পাকিস্তানিদের জন্য হতাশার হলেও টাইগারদের অনন্য অর্জন ছিল। এ জন্য আমি তাদের প্রশংসাও করেছিলাম। ম্যাচশেষে সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছিলাম।
১৯৯৯ সালের ৩১ মে নর্দাম্পটনে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে শক্তিশালী পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় ওয়াসিম বাহিনী। ফলে আগে ব্যাট করতে নামে আমিনুল ইসলাম বুলবুল অ্যান্ড কোং। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৩ রান করেন তারা।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন আকরাম খান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে মিস্টার এক্সট্রার কাছ থেকে। এ ছাড়া ৩৯ রান করেন ওপেনার শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ।
জয়ের জন্য ২২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তানের টপঅর্ডার। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান ডাবল ফিগারে পৌঁছতেই পারেননি। দলীয় ৪২ রানে ৫ ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৩ ওভারে ১৬১ রানে গুটিয়ে যান মেন ইন গ্রিনরা।
ফলে অবিস্মরণীয় এক জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। বল হাতে দেশের হয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন। টার্নিং পয়েন্টে উইকেটগুলো নেয়ায় ম্যাচসেরা হন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:০৪:৪৯ ১৩৭ বার পঠিত