
শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড নির্মমভাবে খুন হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভ দমন করতে অবশেষে বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পুলিশের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ ৩০টিরও বেশি শহরে দাঙ্গায় রুপ নিয়েছে। পুলিশ স্টেশন আগুন দেয়াসহ শহরের বিভিন্ন দোকানপাট ও কনভেনিয়েন স্টোরে লুটপাটের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ট্রাম্প প্রশাসন এ কারফিউ জারি করে। খবর বিবিসির।
রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেও বিক্ষোভ দমাতে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন পুলিশ। এ কারণে মিনিসোটার মিনিয়াপোলিশ, আটলান্টা, লসঅ্যাঞ্জেলেস, ফিলাডেলফিয়া, পোর্টআইল্যান্ড লুইসভিলেসহ বেশ কয়েকটি নগরীতে সারারাত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েডকে ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের কিছুক্ষণ পর একজন পুলিশ অফিসার হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরলে দম বন্ধ হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান।
এ সময় ফ্লয়েড বলতে থাকেন– প্লিজ, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না, আমাকে মারবেন না। এক পথচারী সেই সময় ফ্লয়েডকে ছেড়ে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ফ্লয়েডকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিন (৪৪) ও তার এক সহযোগীর বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শিকাগো শহরে শনিবার বিক্ষোভ দমন করতে টিয়ার গ্যাস ছুড়ে মারলে পুলিশের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে উত্তেজিত জনতা।
লসঅ্যাঞ্জেলেসে পুলিশের ওপর বোতল নিক্ষেপ ও তাদের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাসহ সব বর্ণবাদী হত্যার বিচার দাবিতে শুক্রবার থেকে হোয়াইট হাউস ঘেরাও করে রেখেছেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী।
এ সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান তারা। স্লোগান দেন ‘নো জাস্টিস, নো পিস’ মানে ন্যায়বিচার না হলে শান্তি আসবে না।’
প্রেসিডেন্ট ভবনের আঙিনায় অবস্থান নেন অনেকেই। দূরে অবস্থান নেয়া সিক্রেট সার্ভিস ও পার্ক পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে ইটপাটকেল, প্লাস্টিকের বোতল ও অন্যান্য জিনিস ছুড়ে মারেন।
বিক্ষোভ দমাতে আটলান্টা ও জর্জিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন শহরে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৭:০৯ ১৩০ বার পঠিত