নিউজটুনারায়ণগঞ্জ : ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত (৪৭) ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল (৪৪) সহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান (পিপিএম সেবা) সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গেল ১৬ মে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গতকাল রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বদরপুর মোড় হতে প্রথমে বরকত, রুবেল ও বিপুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের জব্দকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি পিস্তল ও ৯১ রাউন্ড গুলি, দুইটি শর্টগান ও ১৮০টি কার্তুজ, ব্রান্ডের ছয় বোতল বিদেশি মদ, ৬৫ পিস ইয়াবা, খাদ্য অধিদপ্তরের ১২ বস্তায় ৬০ হাজার কেজি চাল, তিন হাজার ইউএস ডলার, ৯৮ হাজার ভারতীয় রুপি ও বাংলাদেশি ২৯ লাখ টাকা ও পাঁচটি পাসপোর্ট।
তাদের সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন, সহযোগী রেজাউল করিম বিপুল, আওয়ামী লীগ নেত্রী ইয়াসমিন সুলতানা বন্যা মণ্ডল, ছাত্রলীগ নেতা এনামুল ইসলাম জনি, অমিয় সরকার, বর্ধিত ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চক্রবর্তী, সাবেক ছয় নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান মামুন ও জাহিদ খান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান জানান, বরকত, রুবেলের কোমড় হতে গুলিভর্তি ম্যাগজিনসহ সেভেন পয়েন্ট সিস্ক ফাইভ বোরের পিস্তল জব্দ করা হয়। এছাড়া বরকতের রেস্ট হাউস হতে বিদেশি মদ ও খাদ্য অধিদপ্তরের ১২শ’ বস্তাভর্তি চাল এবং রুবেলের ড্রয়ার হতে ৬৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে গ্রেপ্তাররের খবরে আনন্দ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের একাংশ। ফরিদপুরে প্রেসক্লাবের সামনে আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ বোস। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মনিরুল হাসান মিঠু, কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খলিফা কামাল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২০:১৪:৩৫ ২৪৭ বার পঠিত
