
নভেল করোনা ভাইরাসের মহামারী প্রতিরোধে দেশ জুড়ে সরকারি নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অংশ হিসেবে রংপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রংপুর মহানগরীর ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ব্যাপক প্রচারণা ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ভ্রমমাণ আদালতের মাধ্যমে নগরীর জাহাজ কোম্পানী মোড়, জিএল রায় রোড, দেওয়ানবাড়ী রোড, হাড়িপাট্টি রোড়, জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট ও সিটি বাজারের প্রায় ১১টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪৩হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এ সময় নভেল করোনা ভাইরাসের মহামারী প্রতিরোধে যৌথবাহিনীর সহযোগিতায় ব্যাপক প্রচারণা ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহামুদ হাসান মৃধা।
এ সময় তিনি বলেন, রংপুর মহানগরী বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ যৌথ এ অভিযান। সেখানে আমরা দেখলাম যে রংপুর শহরে বিভিন্ন শপিংমল, বিভিন্ন বাজার এবং অন্যান্য দোকানপাট সরকারী নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে বিকেল ৪টার পরে খোলা ছিলো। বেশির ভাগ দোকানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার যে যে উপকরণ দরকার, সেগুলো আমরা পাইনি। এ জন্য আমরা বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড আরোপ করেছি এবং সেটা আদায় করেছি।
রংপুর মহানগরের প্রতিটা মার্কেট ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে রংপুর রেড জোনে আছে, তাই সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে পালন করার জন্য রংপুর জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও মেট্রোপলিটন পুলিশ যৌথভাবে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে যাবো। আমি এ বিষয়ে রংপুরবাসীকে সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। যেন তারা সরকারি নিয়ম মেনে চলেন। শুধু মাত্র ওষুধের দোকান ছাড়া বিকেল ৪টার পরে সব দোকান বন্ধ করতে হবে।
মোবাইল কোট পরিচালানাকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনা বাহিনী ৬৬পদাতিক ডিভিশন, রংপুর সেনা নিবাসের লে. কবিরসহ অন্যান্য সদস্য এবং রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ২১:২৪:৪৩ ১৮৬ বার পঠিত