
ফরিদপুরের মধুখালীতে স্বামীর স্বীকৃতি ও বিবাহ বহির্ভুত দাদার দেওয়া কাম-লালসার শিকার নাতনী পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বিধবা জোসনা বেগম (৪০)। জোসনা বেগম মধুখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে উপজেলার কোরকদি ইউনিয়নের পুরান মধুখালীতে প্রায় ১০ বছর আগে স্বামী আশরাফ শেখ মৃত্যু বরন করেন। স্বামীর মুত্যুর পর থেকেই বাড়ীর পাশের মৃত ওমর আলী শেখের ছেলে কাওসার শেখ (৬২) বিভিন্ন অছিলায় ও ছলনায় ভুলিয়ে ভালিয়ে জোসনা বেগেমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন কাওসার শেখ।
প্রেম আর দাদার ভালবাসা নিয়ে জোসনা বেগম জীবনের চাকা সচল করতে আল আরব প্রবাসী হন। উভয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। আল আরবে ৩ বছর অবস্থানের সময় প্রায় ৫ লাখ টাকা জোসনা বেগম তার মা রেবেকা বেগমের কাছে পাঠান। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে রেবেকা বেগমের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন কাওসার শেখ। ৩ বছর পূর্বে জোসনা বেগম প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাড়ীতে ফিরে আসেন। জোসনা বেগম বাড়ীতে আসার পর কাওসার শেখ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়মিত শারীরিক মেলামেশা করতে থাকেন। টাকার হিসাব চাইলে ১ লাখ টাকার ঘর তৈরীরর হিসাব দেন কাওসার শেখ। বাকী টাকার জমি লিখে দিবেন এবং বিয়ে করবেন প্রলোভনে নিয়মিত শারীরিক মিলামিশা করতে থাকেন।
জমি আর বিয়ের আশায় সব উজার করে দেন কাওসার শেখকে জোসনা বেগম। তাদের এ মেলামেশায় সন্তান সম্ভবা হলে জোসনা বেগম কাওসার শেখকে জানান এবং দ্রুত বিয়ের চাপাচাপি করলে আল্ট্রাসোনগ্রামের মাধ্যমে জোসনা বেগম মা হচ্ছেন নিশ্চিত হয়ে দুরত্ব বজায় রেখে চলেন কাওসার শেখ। বাচ্চা নষ্ট করতে চাপ দেন তিনি এ দিকে এক দুই করে সময় গড়িয়ে যায় অনেক দুর। পেটের বাচ্চা নষ্ট করতে জীবনের ঝুকি আছে ডাক্তার জানালে এবং এলাকায় জানাজানি হয়ে যায় । লোকচক্ষুর অন্তরালে যথা সময়ে দাদার দেওয়া একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন জোসনা বেগম।
চেষ্টা করে জোসনার পরিবার বিয়ে এবং সন্তানের স্বীকৃতি আদায় করতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। জোসনা বেগম মধুখালী থানায় বিয়ে এবং সন্তানের স্বীকৃতির দাবীতে একটি অভিযোগ দিলে প্রতারক প্রেমিক দাদা ঘরবাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ এবং এলাকাবাসী প্রেমিক দাদা কাওসার শেখকে খুজছে। কাওসার শেখ ও জোসনা বেগমের একই পাড়ায় বাড়ী হওয়ায় তারা সম্পর্কে দাদা এবং নাতনী।
এ ব্যাপরে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আমিনুল ইসলামের কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু দুজনের সম্মতিতে শারীরিক মেলামেশা হয়েছে ধর্ষন বলা যায় না,যে কারনে জোসনা বেগম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সন্তানের পিতার পরিচয়ের জন্য কোর্টে মামলা করতে হতে পারে জোসনা বেগমের। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে কোর্ট ফায়সালা দিতে পারবে জোসনা বেগমের সন্তানের পিতা কে?
তথ্যসুত্রঃ মানব বার্তা
বাংলাদেশ সময়: ২১:৪৪:৫৭ ২৮০ বার পঠিত