
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা প্রশমনে নতুন একটি ফোরাম গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফের সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি এমন দাবি তুলেছেন।
এ সময়ের তেহরানের প্রতিও চীনের সমর্থনও পুনর্ব্যক্ত করেছেন ওয়াং ই। বার্তা সংস্থা এএফপি ও এনডিটিভির খবরে এমন তথ্য মিলেছে।
রোববার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে করা ইরানের পরমাণু চুক্তির অঙ্গীকার মেনে চলার প্রতিও জোর দেন ওয়াং ও জারিফ।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে করা ওই ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তিকে ত্রুটিপূর্ণ দাবি করে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারে তিনি ওই চুক্তি থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এ ছাড়া ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরপর থেকে ওই চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উত্তেজনা বেড়েছে বিষয়টি ঘিরে।
শনিবার চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় টেংচং শহরে বৈঠক করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইয়েমেন যুদ্ধ, ইরাকে প্রভাব বিস্তার ও তেহরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রিয়াদের সমর্থনে আঞ্চলিক বৈরী সৌদি আরবসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের তিক্ততা চলছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, আঞ্চলিক বহুপাক্ষিক সংলাপের একটি প্লাটফর্মের প্রস্তাব করছে চীন। যেখানে সবার সমান অংশীদারত্ব থাকবে।
‘মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা সংকটের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সমাধানের উপায় খুঁজে বের করা এবং সাংলাপের মাধ্যমে পারস্পরিক বোঝাপড়া ত্বরান্বিত করতে পারবে এই ফোরাম।’
মধ্যপ্রাচ্য নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে উপসাগরীয় মুসলিম দেশগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ঘিরে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইতিমধ্যে ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্রটির সঙ্গে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চুক্তি করেছে।
ফিলিস্তিন এই চুক্তিকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইরান ও তুরস্ক বলেছে, এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্তরায় হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৫০:৩৯ ১৭২ বার পঠিত