বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামালের শাহাদাত
সিপাহী মোস্তফা কামালের অনমনীয় দৃঢ়তা এবং দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ এদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক গৌরব গাথা অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এই দিনে আখাউড়ায় দরুইন গ্রামে পাক বাহিনীর সঙ্গে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। স্বাধীন দেশে বীরশ্রেষ্ঠের মর্যাদায় ভূষিত হয়েছেন সিপাহী মোস্তফা কামাল । বরিশালের এক দরিদ্র পরিবারে তার জন্ম। পড়াশোনা হয়নি তেমন। শৈশব থেকেই ছিলেন দুঃসাহসী ডানপিটে। ১৯৬৭’র ১৬ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হন। তিনি ছিলেন চতুর্থ ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক ৭১’-এর প্রথম দিকে এই রেজিমেন্টকে কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতেই চতুর্থ রেজিমেন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনটি প্রতিরক্ষা ঘাটি গড়ে তোলে। ১৬ এপ্রিল পাক বাহিনী চতুর্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিশ্চিহ্ন করার ব্যাপক উদ্যোগ নিয়ে এগোয় । দরুইন গ্রামটির ওপর মর্টার ও আর্টিলারির গোলাবর্ষণ করে বিরতিহীনভাবে । সেইসঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি। অন্যরা আত্মরক্ষার্থে সরে গেলেও সিপাহী মোস্তফা কামাল পরিবারের ভেতর থেকে পাল্টা আঘাত হানতে থাকেন। তিনি শত্রুদের ঠেকিয়ে সহযোদ্ধাদের সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। সঙ্গীরা নিরাপদ স্থানে সরে যায়। এক সময় গুলি শেষ হয়ে যায়। মোস্তফা কামালও লুটিয়ে পড়েন।

১৬৪৬ সালের এ দিনে ফ্রান্সের বিশিষ্ট স্হপতি জুলিস হার্ডোইন ম্যানসার্ট জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চৌদ্দতম লুইয়ের সময়ে তার নির্দেশে বিখ্যাত ফরাসী রাজপ্রাসাদ ব্জ€˜ ভার্সাই ব্জ€˜ স্থাপনার কাজ শেষ করেন। ভার্সাইয়ের কাজ শুরু করেছিলেন অপর স্থপতি লেভো। চৌদ্দতম লুইয়ের নির্দেশে রাজধানী প্যারিসের কাছাকাছি অবস্থিত ব্জ€˜ ভার্সাই রাজপ্রসাদ নির্মিত হওয়ার পর এখানে পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ঘটনা ঘটে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে ১৯১৯ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এই প্রাসাদে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৮৪৪ সালের এ দিনে ফ্রান্সের প্রখ্যাত কবি ও লেখক আনাতোলি ফ্রাঙ্ক রাজধানী প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন। ফ্রাঙ্ক প্যারিসে ক্লাসিকাল বিষয়ে পড়াশুনা করেন এবং কুড়ি বছর বয়সে অর্থাৎ যুবক বয়সেই সাহিত্যে খুবই মেধার পরিচয় দেন। বেশীর ভাগ সময় তিনি তার লেখা লেখির কাজে ব্যয় করতেন। বিশেষ করে ১৮৭৬ থেকে ১৮৯০ পর্যন্ত তিনি যখন সহকারী লাইব্রেরিয়ান হিসেবে কাজ করতেন সে সময়টার বেশীরভাগ সময় তিনি আপন সাধনায় মগ্ন ছিলেন। ১৮ শতাব্দীতে ফ্রান্সের যে সাহিত্য ধারা ছিল সেই ধারার তিনি সফল উপন্যাসিক ও কবি হিসেবে নিজেকে অনেক উচ্চকিত করেন ।তার লেখার মধ্যে সম্ভোগবাদ ও শহুরে জীবনযাত্রায় সংশয়বাদের চিত্র ফুটে ওঠে। কবি ও সাহিত্যিক হিসেবে তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বই লেখেন। তার লেখা বিভিন্ন বইয়ের মধ্যে মাই ফ্রেন্ডস বুক, দি ব্লোন অব লাইফ, মাদার অফ পার্ল, দি রেড লিলি এবং দি রিভেল্ট অফ দি এ্যাঞ্জেল অন্যতম। ১৯১৪ সালে লেখা রিভেল্ট অফ দি এ্যাঞ্জেল বইটির জন্যে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরুষ্কার পান। ১৯২৪ সালে প্রতিভাধর এই লেখক ও কবি মৃত্যুবরণ করেন ।

১৮৮৯ সালের এ দিনে বিশ্বখ্যাত কৌতুক অভিনেতা, ছবি নির্মাতা, পরিচালক এবং লেখক চার্লস স্পেনসার চাপলিন যিনি চার্লি চ্যাপলিন নামে খ্যাত -লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। সিনেমা জগতে বাস্তবধর্মী কাহিনী এবং অভিনয়ের স্রষ্টা হিসেবেও তিনি পরিচিত। তার মা এবং বাবার বিচ্ছেদের পর তার শৈশব কাটে ল্যামবেথের একটি ওয়ার্ক হাউজে। তবে এর মধ্যে তিনি লিখতেন এবং পড়তেন। ছোট বেলাতেই মঞ্চ অভিনয়ে প্রচন্ড মেধার পরিচয় দেন। চার্লি চ্যাপলিন যুবক বয়সে ১৯১৫ সালে আমেরিকা যান নাইট ইংলিশ হলে পারফর্ম করার জন্যে। সেখানে একজন পরিচালক চার্লিকে তার কমিডি সিরিজের জন্যে পছন্দ করেন এবং তখন তিনি সিনেমাতে প্রথম নাম লেখান। চার্লি চ্যাপলিন আমেরিকাতে বাস্তবতার নিরীখে সমালোচনা এবং সহমর্মিতাধর্মী বিষয়ের উপর সিনেমা তৈরী এবং অভিনয় করেন। ১৯৪০ থেকে ১৯৫০ এর দশকে রাজনৈতিক বিষয়ের উপর কাজ শুরু করেন এবং সে সময় তাকে সমস্যায় পড়তে হয়। একনায়কতন্ত্র, শীতল যুদ্ধ এসব বিষয়ের উপর কাজ করেন। ১৯৫২ সালে আমেরিকার একজন এটর্নী জেনারেল তার রাজনৈতিক শিল্প কর্মের কারণে তার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নোটিশ জারী করে। ঐ নোটিশে তাকে চরিত্রহীন হিসেবে দাবী করা হয়। তিনি তখন আমেরিকায় সমস্ত কিছু বিক্রি করে দিয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চলে যান। যশ্বশী এই কৌতুক অভিনেতা ১৯৭৭ সালে পরলোকগমন করেন ।

১৯৪৮ খৃষ্টাব্দের এ দিনে সশস্ত্র ইহুদীবাদী ইসরাইলীরা ফিলিস্তিনের একটি ইংরেজ সেনা ঘাটিতে হামলা চালালে ৯০ জন ফিলিস্তিনী শহীদ হন। ইসরাইলীরা যখন এ হামলা চালায় তখন ব্রিটিশ সেনারা স্বদেশে ফিরে যাচ্ছিল। অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র গঠনের জন্যেই ইহুদীবাদীরা এভাবে বেসামরিক নিরীহ ফিলিস্তিনীদের উপর হামলা চালায় এবং তাদেরকে নির্মমভাবে শহীদ করে ।

১৯৯৭ খৃষ্টাব্দের এ দিনে মক্কা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্তিত মীনায় হাজী ক্যাম্পে একটি গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণে ৩৪৩ জন হাজী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় এবং ১২৯০ জন আহত হয়। ঐ বিস্ফোরণের ফলে ৭০ হাজার হাজীদের তাবু পুড়ে যায়। এটি মীনায় দ্বিতীয় বৃহত্তম অগ্নিকান্ডের ঘটনা। এর আগে ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরে আরেকবার অগ্নিকান্ড ঘটেছিল। তখন হাজার হাজার হাজী মারা যায় এবং আহত হয় কয়েক হাজার হাজী। হাজীদের তাঁবুতে অগ্নিকান্ডের এসব ঘটনার পর সৌদি সরকার মিনায় অগ্নি নিরোধক ক্যাম্প তৈরী করে দেন ।

ভারতবর্ষে প্রথম রেললাইন (বোম্বে থেকে একটি থানা সদর পর্যন্ত ২৪ মাইল) চালু (১৮৫৩)
বিশ্বখ্যাত ইংরেজ অভিনেতা ও চিত্র পরিচালক চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম (১৮৮৯)
মহিলাদের মধ্যে সর্বপ্রথম হ্যারিয়েট কুইসার কুইমবি বিমানে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন (১৯১২)
জার্মানির বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ ঘোষণা (১৯১৭)
এ্যাপোলো-১৬’র চাঁদে যাত্রা (১৯৭২)
বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা (১৯৭৫)
জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতা লাভ (১৯৮০)
পাটনায় যাত্রীবাহী চলন্ত ট্রেনে অগ্নিকা-। শতাধিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত (১৯৯০)

বাংলাদেশ সময়: ১২:৪৬:০৩   ৪৩৭ বার পঠিত