সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, জমি দখল, চাঁদাবাজি ও কমিশন বাণিজ্যের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে ফাঁসছেন ২০ সংসদ সদস্য (এমপি)। এসব এমপির অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যেই দুদক মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুদক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, অনুসন্ধানে থাকা ২০ এমপিকে যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় আনা হবে।
কুয়েতে গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামের বিরুদ্ধে আজ বুধবার (১১ নভেম্বর) অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন দুদক কমিশনার।
দুদক থেকে ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা কোনো ছাড় পাবে কিনা এমন প্রশ্নে দুদক কমিশনার বলেন, আমাদের কাছে কোনো দল-মত নেই, ব্যক্তির ঊর্ধ্বে আমরা কাজ করি। আইন আমাদেরকে যেভাবেই নির্দেশ করে সেভাবেই আমরা কাজ করি।
পাপুল ও সেলিনাসহ সাবেক ও বর্তমান ২২ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, খাস জমি দখল, ঘুষ গ্রহণ, কমিশন নেওয়া ও চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জন বর্তমান এবং ১০ জন সাবেক সংসদ সদস্য।
সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্যদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১০ জন, বিএনপির পাঁচজন এবং অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র থেকে ছয়জন এমপি রয়েছেন। আওয়ামী লীগের তিন এমপির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।
দুদক কমিশনার মোজাম্মেল বলেন, অনুসন্ধানে থাকা অন্যান্য এমপিদের বিষয়েও আমাদের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেটিও যথাসময়ে আমরা রেজাল্ট দিতে পারব।
আজ বুধবার শহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী, কন্যা এবং শ্যালিকার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:২৮:২৮ ৭৩ বার পঠিত