
ঘরের ভেতরের বাতাস ভাইরাসমুক্ত করার জন্য বিশেষ ধরনের এয়ার পিউরিফায়ার বানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কম্পানি অ্যাকটিভপিওর। ঘরের ভেতর, হাসপাতালের ওয়ার্ড, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল, শপিং মল, দোকান—যেকোনো ছোট ও বড় জায়গাতেই ভাইরাসের জলকণা নষ্ট করার মতো বিশেষ প্রযুক্তি আছে এই যেকোনো ছোট ও বড় জায়গাতেই ভাইরাসের জলকণা নষ্ট । জরুরি ভিত্তিতে ঘরে ঘরে এই পিউরিফায়ার যন্ত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে অ্যাকটিভপিওর।
কম্পানির এরিয়াস মেডিক্যাল গার্ডিয়ানের ল্যাবরেটরিতে এই এয়ার পিউরিফায়ার ডিজাইন করা হয়েছে। সংস্থার সিইও ও চেয়ারম্যান জো উরসো বলেছেন, সাত ঘণ্টার মধ্যে ৯৯ শতাংশ জীবাণুমুক্ত করতে পারে এই পিউরিফায়ার। এটা মূলত এক ধরনের মেডিক্যাল ডিভাইস, যা বিশেষভাবে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া তথা প্যাথোজেন নষ্ট করার জন্যই তৈরি। সার্স-কভ-২ ভাইরাস যেহেতু রেসপিরেটরি ড্রপলেটে ভেসে ছড়াতে পারে, সে জন্য বাতাসে ভাসমান ভাইরাসের জলকণা নষ্ট করার মতো প্রযুক্তি আছে এই পিউরিফায়ারের।
তিন মিনিটে ঘরের ভেতর বাতাস পরিশুদ্ধ করতে পারে এই এয়ার পিউরিফায়ার, বলেছেন কম্পানির সিইও জো। মেঝেতে জমে থাকা ভাইরাসের ড্রপলেটও নষ্ট করে দিতে পারে খুব তাড়াতাড়ি।
মানুষের নাক ও মুখ থেকে বেরোনো জলকণায় ভাইরাল স্ট্রেন মিশে থাকতে পারে। এই জলকণা যখন বাতাসের সংস্পর্শে আসে, তখন জলীয় বাষ্পে ভরাট হয়ে আরো বড় জলকণা তৈরি করে। একে এয়ার ড্রপলেট বলে। এই ড্রপলেটে ভেসে ভাইরাল স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়তে পারে। এখন এই এয়ার ড্রপলেট বা বাতাসে ভাসমান ভাইরাস জলকণা কত দূর পর্যন্ত ছড়াতে পারে বা বাতাসে কতক্ষণ টিকে থাকতে পারে, সেটা নির্ভর করে নানা ফ্যাক্টরের ওপর। যেমন—বাতাসের গতি, দিক ও আর্দ্রতা, জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ইত্যাদি। জলকণা ভারী হয়ে গেলে সেটা খসে পড়ে মাটিতে বা কোনো সারফেসে জমে থাকে। এই সারফেস বা পদার্থ যদি মসৃণ হয়, তাহলে সেখানেও ভাইরাস পার্টিকলের টিকে থাকার সময় বেড়ে যায়। সূত্র : দ্য ওয়াল।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৩৪:২৫ ৭৯ বার পঠিত