বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূতরা বুধবার বিকালে বঙ্গভবনে পৃথকভাবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। খবর বাসসের।
পরিচয়পত্র পেশের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন জানান, এই দুই রাষ্ট্রদূত হলেন- ইউএই’র সায়েদ মোহাম্মদ সায়েদ হামিদ আল্মহেইরি এবং আফগানিস্তানের আবদুল কাইয়ুম মালিকজাদ।
রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সর্বদা সংযুক্ত আরব আমিরাত ও আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ইউএই’র মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করে বর্তমান রাষ্ট্রদূতের মেয়াদকালে তা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আবদুল হামিদ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইউএই সফরের পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের শুরু হয় এবং ইতোমধ্যে তা বহুমুখী ক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে।
‘সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাদের উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে অন্যতম। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে’ এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশ দুটি এই সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারে।
তিনি বিদ্যমান সম্পর্ককে আরো নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এবং বর্তমানে বিরাজমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে আরো বা নিয়মিত সফরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রপতি দুই দেশের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ইউএই’তে বাংলাদেশের প্রচুর শ্রমিক থাকায় তিনি বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করার জন্য সেখানকার বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, এই সফর দুই দেশের উন্নয়নে নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে বলেন, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রদূতরা বঙ্গভবনে পৌঁছালে তাদেরকে পৃথকভাবে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) অশ্বারোহী দল তাদেরকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৯:৫৯ ৩১০ বার পঠিত