ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে।
নূর ইসলাম (৩০) নামের ওই ব্যক্তি একই ইউনিয়নের মোহাম্মদ দফাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে চন্ডিপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসী জলিল মোল্যার বাড়িতে নূর ইসলাম রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান। এক পর্যায়ে ওই বাড়ির মেয়ে জেনির (১৫) সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের চার মাস পর আদালতে গিয়ে হলফনামার মাধ্যমে শাশুড়ি ঝর্না বেগমকে (২৯) বিয়ে করেন নূর ইসলাম।
এদিকে, ঘটনাটি জানাজানি হলে মা-মেয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় এবং এরপর বৃহস্পতিবার রাতে ঝর্না বেগমকে নিয়ে নূর ইসলাম চন্ডিপুর গ্রামে এলে এলাকার মানুষ বিষয়টি জানতে পারে এবং তাদের আটক করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কাউসারের জিম্মায় দেয়।
মাচ্চর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. কাউসার বলেন, “রোজার প্রথম তারাবি নামাজের কারণে আমি চৌকিদার মক্কাছের জিম্মায় ওদের রেখে এসেছি। কিন্তু পরে জানতে পারলাম সেখান থেকে ওরা দুজনই পালিয়েছে।”
মাচ্চর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ মুন্সি বলেন, “বিষয়টি আমি জেনেছি। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য এবং ওই গ্রামে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সমাধানের জন্য।”
বাংলাদেশ সময়: ০:৩৫:২৫ ৪০৪ বার পঠিত