আগ্রাসনের শিকার নিরীহ শিশুদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস
বিশ্বব্যাপী আগ্রাসনের শিকার নিরীহ শিশুদের নিরাপত্তার ব্যাপারে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করা এ দিবসটির মূল উদ্দেশ্য। ১৯৮২ সালের ৪ জুন ইসরাইল লেবাননের রাজধানী বৈরুতে আক্রমণ চালায়। ইসরাইলের এই বর্বরোচিত হামলায় নিহত হয় বহু লেবাননী ও ফিলিস্তিনী শিশু। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক বিশেষ অধিবেশনে ১৯৮২ সালের ১৯ আগস্ট এ নিয়ে পর্যালোচনা হয়। এ অধিবেশনে ইসরাইলি আগ্রাসনে নিরীহ শিশুদের স্মরণে ৪ জুনকে আন্তর্জাতিক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই থেকে এ দিবসটির সূত্রপাত।
হিজরী ১২৯৯ সালের এই দিনে মির্জা কুচাক খান জাঙ্গালীর নেতৃত্বে ইরানীরা বৃটিশ উপনিবেশবাদীদের অনুগত কাজার শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে৷ ইসলামী ঐক্য কমিটি এই আন্দোলন গড়ে তোলে৷ তৎকালীন সময়ের বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও চিন্তাবিদ সাইয়্যেদ জামাল উদ্দীন আসাদাবাদী, সাইয়্যেদ আব্দুর রহমান কাওয়াকেবী, শেইখ মোহাম্মদ আব্দুহ প্রমুখ ব্যক্তিত্বদের আবির্ভাব ঘটে এবং তারা বিজাতীয়দের প্রভাব ও স্বৈশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন৷ মির্জা কুচাক খান জাঙ্গালি ইরানের উপর বিদেশীদের লোলুপ দৃষ্টির বিষয়টি বুঝতে পেরে ইরানকে রক্ষার জন্য উপনিবেশবাদী ও তাদের অনুগত ইরানের স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে শাক্তিশালী একটি সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলেন৷ মির্জা কুচাক খান ও তার অনুসারীরা সংগ্রাম চালিয়ে গেলেও তাদের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা সাবেক সোভিয়েত ব্লকের কমিউনিষ্ট পন্থী কিছু লোক চরম বিশ্বাসঘাতকতা করে৷ শেষ পর্যন্ত বিদেশী উপনিবেশবাদীদের ষড়যন্ত্র ও নিজেদের মধ্যকার কিছু মতভেদের কারণে এ আন্দোলন স্তিমিত হয়ে আসে৷
হিজরী ১৩৪২ সালের এই দিনে ইসলামী বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইমাম খোমেনী(রাঃ)এর গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ইরানের জনগণ শাহ সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷ ইমাম খোমেনী(রঃ) কোমের ধর্মতত্ব গবেষণা কেন্দ্রে দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণে শাহ সরকারের অনেক অপকীর্তি ফাস করে দেয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ শাহের নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে জনগণের বিক্ষোভ সমাবেশ দমন করে এবং তাদের হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছিল৷ এই রক্তাক্ত ও ঐতিহাসিক বিপ্লব মূলত শাহের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের সূচনা করে৷ ফার্সী ১৩৪২ সালের ১৫ই খোরদাদের ঘটনার পর শাহ সরকারের ইসলাম ও গণবিরোধী চেহারা আরো স্পষ্ট হয়ে পড়ে৷ এরপর থেকে ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বে ইরানের মুসলমানদের গণআন্দোলন অব্যাহত থাকে এবং শেষ পর্যন্ত ফার্সী ১৩৫৭ সালে বাহমান মাসের ২২ তারিখে ইসলামী বিপ্লবের চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়৷
১৯৮৯ সালের ৪ঠা জুন চীনের রাজধানী বেইজিং এর তিয়েন এনমেন স্কয়ারে এক সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু ছাত্র নিহত হয়েছিল৷ এদিন হাজার হাজার ছাত্র তিয়েন এনমেন স্কয়ারে সমবেত হয়ে রাজনৈতিক স্বাধীনতা, কমিউনিষ্ট সরকারের ক্ষমতা হ্রাস এবং জনগণের দ্বারা নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্যদের ক্ষমতা বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছিল৷ সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ছাত্ররা প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে এবং শেষ পর্যন্ত পুলিশ ও সেনা বাহিনীর সাথে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে৷ এতে বহু ছাত্র হতাহত হলে পশ্চিমারা এটাকে সুযোগ হিসাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে৷ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমারা চীনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার শুরু করে এবং মানবাধিকার লঙঘনের দায়ে অভিযুক্ত করে তারা চীন সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে৷
হিজরী ১২৭৪ সালের জমাদিউল আওয়াল মাসের এই দিনে ইরানের খ্যাতনামা সাহিত্যিক ও ইসলামী চিন্তাবিদ আয়াতুল্লাহ শেইখ মোহাম্মদ কাসেম এর্দুবাদি উত্তর পশ্চিম ইরানের তাবরিযে জন্ম গ্রহণ করেন৷ তিনি মাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করে ইরাকের নাজাফের ধর্মতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে যান এবং সেখানে তৎকালীন সময়ের বিখ্যাত আলেমদের সান্নিধ্যে থেকে ইসলাম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন৷ তিনি ইজতিহাদ করার যোগ্যতা অর্জন করার পর মাতৃভূমি তাবরিযে ফিরে আসেন৷ আয়াতুল্লাহ এর্দুবাদি তাবরিযে শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু মূল্যবান গ্রন্থও রচনা করেছেন৷ তিনি হিজরী ১৩৩৩ সালে পরলোক গমন করেন৷
হিজরী ১২৭৯ সালের জমাদিউল মাসের এই দিনে বিখ্যাত আরব সাহিত্যিক ও কবি আব্দুল বাকী বিন সোলাইমান ফারুকী পরলোক গমন করেন৷ তরুণ বয়সেই তিনি চমৎকারভাবে কবিতা আবৃতি করতে পারতেন৷ আব্দুল বাকী আহলে বাইত বা নবী বংশের প্রতি ছিলেন বিশেষভাবে অনুরক্ত৷ এজন্য তার কবিতায় আহলে বাইতের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার চিত্র ফুটে উঠেছে৷
এ দিনে সংঘটিত আরো কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে রয়েছে ১৯৪০ খ্রীষ্টাব্দের এ দিনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্র বাহিনী জার্মানীর সাথে যুদ্ধে ডানকার্ক থেকে সরে আসে। এরপর ১৯৪৪ সালে পঞ্চম যুক্তরাষ্ট্রীয় বাহিনী রোমে অবতরন করে এবং জার্মান বাহিনীর হাত থেকে রোমকে মুক্ত করে।
ঐতিহাসিক ক্যালকাটা হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা (১৮৩০)
মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ শুরু (১৮৪৫)
মেজেন্টা যুদ্ধে ফ্রান্সের কাছে অস্ট্রীয়দের পরাজয় (১৮৫৯)
তুরস্কের সুলতান আবদুল আজিজ আততায়ীর হাতে নিহত (১৮৭৬)
ইতালির জনক জিউসেপ গ্যারিবল্ডির জন্ম (১৮৮২)
হেজাজের বাদশাহ ইবন আলী হুসেইনের মৃত্যু (১৯৩১)
পেরুতে ভূমিকম্পে অর্ধ লক্ষাধিক লোক নিহত (১৯৭০)
ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির ইন্তেকাল (১৯৮৯)
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ডিস এন্টিনা চালু (১৯৯১)
ইংলিশ চ্যানেল বিজয়ী প্রথম বাঙালি ব্রজেন দাসের মৃত্যু (১৯৯৮)
বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৩:৫৩ ৪৩৩ বার পঠিত