প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার দুর্ঘটনা নিয়ে আগেই ট্যুইট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেছিলেন আহতদের পাশে সবসময় রয়েছে রাজ্য সরকার৷ এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সঙ্গে সুর মেলালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন৷
এদিন মোদীর সভার পরেই মিথ্যে বনাম সত্যি নামে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয় তৃণমূলের তরফে৷ প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের পাঁচটা তথ্য তুলে ধরে সেই বক্তব্য খারিজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ বিবৃতিতে দল বলেছে মোদী মেদিনীপুরে শুধু রাজনৈতিক ভাষণ দিতে এসেছিলেন৷
তৃণমূলের জবাব :
১. মোদী বলেছিলেন জনসভায় আসার পথে তিনি শ’খানেক তৃণমূলের পোস্টার দেখতে পেয়েছিলেন৷ তৃণমূল জানিয়েছে ওই পোস্টারগুলি ২১শে জুলাইয়ের শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া হয়েছিল৷ মোদীর জন্য নয়৷ এর মধ্যে বেশ কিছু ব্যানার বিজেপির কর্মী সমর্থকরা নষ্ট করেছে৷
২. তৃণমূল বলেছে মোদীর জনসভার বেশিরভাগ মানুষ ছিল পাশ্ববর্তী রাজ্যগুলি থেকে৷ বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা থেকে গাড়ি করে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন মানুষ৷ স্থানীয় কৃষক বা এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক মানুষই উপস্থিত ছিলেন সেখানে৷ বড় বড় কোম্পানিগুলি এর জন্য টাকা খরচ করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের৷
৩. মোদীর কাছে তৃণমূলের প্রশ্ন কীভাবে তিনি কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করবেন? বহু বছর আগে, বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আজও তা পূর্ণ হয়নি৷ কিন্তু বাংলার সরকার তা করে দেখিয়েছে৷ গত সাত বছরে কৃষকের আয় ২.২৫ গুণ বেড়েছে৷ ২০১১ সালে ৯১ হাজার টাকা ছিল আয়, তা আজ ২লক্ষ ৯০হাজার টাকা হয়েছে৷
৪. ২০১৭ সালের প্রথম ধাপে মহারাষ্ট্রে কৃষক আত্মহত্যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৬৩৫৷ সেখানে বাংলায় কৃষক আত্মহত্যার পরিমাণ শূণ্য৷
তৃণমূল বিবৃতিতে বলেছে আশা করা যায় বিজেপি নেতারা তাদের জবাব পেয়ে গিয়েছেন৷ গোটা দেশে কৃষকদের কি পরিস্থিতি ও বাংলায় কি পরিস্থিতি সেই ছবিটা পরিস্কার হয়েছে বিজেপির কাছে৷
সিন্ডিকেট নিয়েও বার্তা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তারা বলছে সিন্ডিকেটের ব্যাপারে বিজেপির থেকে ভালো আর কে জানবে? মোদীর দল এমন এক সিন্ডিকেট যা ধর্মীয় গুন্ডামির উৎস৷ গুজব আর কুসংস্কারের প্রবর্তক৷ সবচেয়ে বড় কথা বিজেপির দুর্নীতি মানুষ জানেন, তারও সিন্ডিকেট বিজেপি বলে অভিযোগ তৃণমূলের৷
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৮:০১ ৩৩৭ বার পঠিত