এমন মমতাকে আগে দেখা যায়নি৷ অন্তত ২১ জুলাই মঞ্চ থেকে নয়৷ যে অগ্নিবর্ষী ভাষণের কারণে তাঁকে চেনেন সবাই এদিনও সেটা কম ছিলনা৷ কিন্তু বাধ সাধল বারে বারে গলা ধরে যাওয়া৷ ভাষণে কতবার তাঁর গলা ধরে গেল সেটা নিয়েও আলোচনা চলবে৷ এটা যদি একটা দিক হয় তাহলে ভাষণের প্রায় পুরোটাই ছিল জাতীয় রাজনীতির দিক৷ লোকসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য করেই দলের প্রথম অঘোষিত নির্বাচনী জনসভাটি করে ফেললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী৷
একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য ধরে তিনি আগামী রাজনৈতিক অংক তুলে ধরেছেন৷ ‘স্বপ্নের ফেডারেল ফ্রন্ট’ ঘিরে যাবতীয় সমীকরণ উত্থাপন করেছেন৷ বিশাল জনসমাগম চমকে গিয়েছে সেই সূত্র দেখে৷ মমতা জানিয়েছেন, বিজেপির ভরাডুবি আসন্ন৷ যুক্তির পক্ষে তুলে ধরেছেন বিভিন্ন রাজ্যের আগামী নির্বাচনের আগাম ফলাফল৷ তাতে সবক্ষেত্রেই বিজেপি যে পিছিয়ে তাও পরিষ্কার করে দিলেন৷
সম্প্রতি ত্রিপুরা ও কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যক্তিগত এক্সিট পোল’ মিলে গিয়েছে৷ ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে৷ আর কর্ণাটকে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হয়ে জোট করে ক্ষমতা এসেছে জেডিএস-কংগ্রেস৷ একুশে জুলাই সমাবেশ থেকে এবার তৃণমূল নেত্রী জানালেন, রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু সহ বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবির আগাম পরিসংখ্যান৷ এখান থেকেই প্রশ্ন, এবারেও কি মিলতে চলেছে মমতার ভবিষ্যতবাণী ?
গোটা দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বিপুল ক্ষমতা নিয়ে তৃণমূল জাতীয়স্তরে অবিজেপি জোটে বড়সড় শক্তি হয়ে উঠবে তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন৷ রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনেই জয়ের ডাক দিয়েছেন তিনি৷ সংখ্যাটা মিলে গেলে বহুদলীয় ফেডারেল ফ্রন্টের তরফে সর্বভারতীয় মুখ হতে চলেছেন মমতা৷
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১০:০৭ ২২২ বার পঠিত