নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ বয়স্কদের কল্যাণ নিশ্চিতে একটি বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি
গ্রহণ করতে হবে যেখানে তাদের উপশম ও পরিচর্যা সেবার ক্ষেত্রে আর্থিক,
কারিগরি ও সক্ষমতা বিনির্মাণ বিষয়ে সহায়তা ও সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে।
বৈশ্বিক সর্বোত্তম চর্চাসমূহ বিনিময়েরও সুযোগ থাকবে। উন্নয়ন
অংশীদারগণ এবং জাতিসংঘ এই কাজে এগিয়ে আসবেন।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘ওপেন-এন্ডেড ওয়ার্কিং গ্রুপ এইজিং’ এর
নবম সেশনের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের বয়স্ক
জনগোষ্ঠীর কল্যাণে যেসকল পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে তা উল্লেখ করে
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার কাজের বিনিময়ে খাদ্য, কাজের বিনিময়ে অর্থ,
দুস্থ গোষ্ঠীর খাদ্যসহায়তা (ভিজিএফ) এর মতো নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচিসহ
বয়স্কদের জন্য বেশকিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। চালু করা হয়েছে বয়স্কভাতা।
সরকারি চাকুরিতে অবসর গ্রহণের বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে।
এছাড়া দেশের কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রসমূহ বয়স্কসহ সকল নাগরিকদের
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে এবং এর পরিধিও দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে
মর্মে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ।
বাংলাদেশ সরকার বয়স্কদের কল্যাণ ও সুযোগ-সুবিধা উত্তরোত্তর বাড়াতে
প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মর্মে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সহায়হীন বয়স্কদের
আশ্রয় দিতে সরকার ‘শান্তি নিবাস’ নামে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি
করে বয়স্ক আশ্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও এনজিও
প্রচেষ্টাসমূহকে আর্থিক ও নীতিগতভাবে সহযোগিতা করছে। রাষ্ট্রদূত বলেন,
বাংলাদেশ সরকার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। তিনি আরো
বলেন, মাদ্রিদ প্লান অ্যাকশন এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুযায়ী বাংলাদেশ
২০১৩ সালে বয়স্কদের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করেছে এবং এর বাস্তবায়নে
কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:১০:৫৫ ৩০২ বার পঠিত