প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেবে কংগ্রেস৷ আসন্ন ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলেন রাহুল গান্ধী ৷ কিন্তু যদি এমন পরিস্থিতি আসে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় এবং বিরোধী দলগুলির কোনও নেতাকে বেছে নিতে হয় সেক্ষেত্রে দলিত নেত্রী মায়াবতী কিংবা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সমর্থন দিতে রাজি আছে কংগ্রেস৷ কংগ্রেসে সূত্রে একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে কাছে এমনই খবর৷
গত ছয়মাস ধরেই কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী উঠে পড়ে লেগেছেন বিরোধী ঐক্য গড়ার জন্য৷ এই কাজ শুধুমাত্র নেতৃত্বের কারণে কোন রকম বিঘ্ন ঘটাতে চাইছেন না৷ কারণ ওই টিভি চ্যানেল সূত্রে খবর, দেশের প্রাচীন এই রাজনৈতিক দলটি তেমন লোককেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে বিরোধিতা করবে যদি তিনি বিজেপি বা আরএসএসের কেউ হন৷
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সংসদে অন্যান্য বিরোধী দলের কাছে কংগ্রেসের সেই রূপ তুলে ধরেন যাতে বার্তা দেওয়া হয় কংগ্রেস আদৌ ভরসাজনক সঙ্গী নয়৷ অন্তত এই দলটির পুরনো ‘ট্র্যাক রেকর্ড’ তেমনটাই বলছে বলে বিরোধী জোট সঙ্গীদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে৷ অন্যদিকে বহু প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী রয়েছে এই জোটে৷ এই ধরনের জোট যে আলোচনার শুরুতেই ভেঙে পড়বে বলে কটাক্ষ করেছেন রাজনাথ সিং৷ সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক দল থেকে মায়াবতী অথবা মমতার মতো উচ্চাকাঙ্খীদের দের নাম প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীদের হিসেবে উঠে আসবে৷
কংগ্রেস ভেবেছে বিহার উত্তর প্রদেশে বিরোধী জোট বেশ ভালই ধাক্কা দেবে বিজেপিকে ৷ এই দুটি রাজ্য রয়েছে ৫৪৩টি লোকসভার মধ্যে ১২০টি আসন৷ আর এই দুটি রাজ্যে বিরোধিরা ভাল ফল করলে বিজেপি অথবা এনডিএ-র পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাওয়া৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী ইতিমধ্যেই তাদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন৷
মমতা নতুন বছরের শুরুতেই ব্রিগেডে মহামিছিল করতে চেয়েছেন সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলগুলির নেতাদের নিয়ে৷ মায়াবতীও আগে কর্ণাটকের ভোটের সময় প্রচারে এসে সেই বার্তা দিয়েছেন৷ কারণ ২০১৯ সালে তিনিই নিউক্লিয়াস হয়ে উঠবেন বলে মন্তব্য করেছিলেন তাদের জোট সঙ্গী জনতা দল সেকুলারের নেতা দানিশ আলি৷ কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে রাজি নয় তবে মধ্যপ্রদেশে ও ছত্তিশগড়ে মায়াবতীর দলের সঙ্গে জোটের আলোচনা শুরু করেছে৷
মায়াবতী চান এই সমঝোতা অন্যান্য আরও রাজ্যে বাড়িয়ে দিতে৷ ফলে রাজস্থানের বিষয়ে বলা হলেও সেখানকার প্রদেশ কংগ্রেসে এ বিরোধিতা করেছে৷ রাহুল গান্ধী বিএসপি জোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে৷ রবিরার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি রাহুলকে ফ্রি-হ্যান্ড দিয়েছে যে কোন জোট সঙ্গী করার ব্যাপারে এই বিশ্বাসে যে লোকসভা ভোটে ভাল ফল করবে৷
বাংলাদেশ সময়: ১৪:০১:৩৩ ২৫৮ বার পঠিত