দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে কয়লা খনির সাবেক এমডি

প্রথম পাতা » আইন আদালত » দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে কয়লা খনির সাবেক এমডি
বুধবার, ১ আগস্ট ২০১৮



---দুর্নীতির অভিযোগে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম নুরুল আওরঙ্গজেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার সকাল ১০টার দিকে তিনি দুদক কার্যালয়ে হাজির হন।

গত সোমবার আওরঙ্গজেবকে দুদকে হাজির হওয়ার জন্য একটি নোটিশ দেয়া হয়। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. শামসুল আলম এই নোটিশ দেন। এছাড়া সেদিনই খনির দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় বড়পুকুরিয়ার ১৯ জন কর্মকর্তা এবং পেট্রোবাংলার দুই কর্মকর্তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পুলিশের ইমিগ্রেশন বিভাগে চিঠি দেয় দুদক। এক লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা গায়েব করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। কয়লা চুরির মামলা তদন্তে দুদক যে ২১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেছিল সে তালিকায় নাম ছিল না আওরঙ্গজেবের।

কয়লা উধাওয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ জুলাই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুদক। কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার কথা বলা হয়েছে। কমিটির প্রধান উপ-পরিচালক শামসুল আলম এবং অন্য দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক এএসএম সাজ্জাদ হোসেন ও উপ-সহকারী পরিচালক এএসএম তাজুল ইসলাম।

কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান ২৪ জুলাই পার্বতীপুর মডেল থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, খনি উন্নয়নের সময় (২০০১) থেকে ১৯ জুলাই ২০১৮ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪২ দশমিক ৩৩ মেট্রিক টন কয়লা উৎপাদন করা হয়েছে। উৎপাদিত কয়লা থেকে পার্শ্ববর্তী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৯ দশমিক ২৯ মেট্রিক টন কয়লা সরবরাহ, বেসরকারি ক্রেতাদের কাছে ডিওর মাধ্যমে ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ২৮০ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন কয়লা বিক্রি এবং কয়লা খনির বয়লারে ১২ হাজার ৮৮ দশমিক ২৭ মেট্রিক টন কয়লা ব্যবহার করা হয়। কয়লার উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার হিসাব করলে ১৯ জুলাই কোল ইয়ার্ডে রেকর্ডভিত্তিক কয়লার মজুদ দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন। কিন্তু বাস্তবে মজুদ ছিল প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন কয়লা। অর্থাৎ ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন কয়লা ঘাটতি রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৩০ কোটি টাকা বলে জানানো হয়। অভিযোগে বলা হয়, এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাকি ১৫ জন আসামি অনেক আগে থেকেই তত্কালীন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে সংঘটিত কয়লা চুরির ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে অনুমিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৮:৩৫   ৩৬৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আইন আদালত’র আরও খবর


এমসি কলেজে দলবেঁধে ধর্ষণ: আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
পিকে হালদারের সহযোগী শঙ্খ ব্যাপারী কারাগারে
নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফের রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি
আর্থিক বিচারে এখতিয়ার বাড়লো সিভিল কোর্টের
সাবেক বিচারক শাহবাগ থানায় মেয়ের বিরুদ্ধে জিডি করলেন
কারাগারে ফরিদপুরের দুই ইউপি চেয়ারম্যান
নারী সাক্ষীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় বিচারক প্রত্যাহার
রাজধানীতে মা-ছেলে হত্যা মামলায় স্বামীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা
মাদক মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিচার শুরু

আর্কাইভ