তিনি ভারতের অর্থমন্ত্রী। কর্পোরেট, রেল ও কয়লা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তার হাতে। শুক্রবার লোকসভায় পীযূষ গয়াল বলছেন, তিনিও ব্যাংক জালিয়াতির শিকার হয়েছিলেন। তার ডেবিট কার্ড থেকেও টাকা চুরি হয়ে গিয়েছিল।
তবে নিজের উদাহরণ দিয়ে পীযূষের আশ্বাস, ‘আমি সব পয়সা ফেরত পেয়েছি।’ তার দাবি, এটিএম জালিয়াতি আটকাতে সরকার সক্রিয়।
ডেবিট কার্ডের তথ্য চুরি করে গ্রাহকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে চুরি করা হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এটিএম থেকে ‘স্কিমিং’ করেই ডেবিট কার্ডের তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের একের পর এক ঘটনায় এই মুহূর্তে কলকাতা জুড়েই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অর্থমন্ত্রী নিজেই এমন জালিয়াতির শিকার জানার পরে প্রশ্ন উঠেছে, তিনি রাজনীতিক, মন্ত্রী। তিনি সব টাকা ফেরত পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আমজনতার কী হবে?
লোকসভায় এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওডিশার সাংসদ ভর্ত্রুহরি মেহতাব।
তিনি বলেন, ‘এইচডিএফসি, আইসিআইসিআই, ইয়েস, অ্যাক্সিস, স্টেট ব্যাংকের মতো বিভিন্ন ভারতীয় ব্যাংকের তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। বহু মানুষ ডেবিট কার্ড থেকে বেআইনি লেনদেনের শিকার হয়েছেন। চীন, আমেরিকা থেকে এসব জালিয়াতি করা হচ্ছে। সরকার তথ্য চুরি রুখতে কী করছে?’
জবাবে পীযূষ যুক্তি দেন, গোটা পৃথিবীতেই হ্যাকিং হয়। শুধু ভারতে তা আটকে নেই। সরকার যত শক্তপোক্ত সুরক্ষাকবচ তৈরি করছে, হ্যাকাররা তা ভাঙতে নতুন নতুন পন্থা বের করছে। কিন্তু তা এমন পর্যায়ে পৌঁছায়নি, যাতে অর্থনীতিতেই সমস্যা হয়। কারণ এমন হলে তা ধরাও পড়ে যায়।
উদাহরণ দিতে গিয়ে পীযূষ বলেন, ‘আমার নিজেরই আইসিআইসিআই ব্যাংকের ডেবিট কার্ডে কিছু লেনদেন হয়েছিল। আইসিআইসিআই ব্যাংককে জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিটি টাকা ফেরত পেয়ে যাই। এক পয়সারও লোকসান হয়নি।’
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৭:৪৫ ৩২৩ বার পঠিত