অনুব্রত মন্ডলের কাছে এত টাকা কী করে এল, জানতে চান লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি নেত্রী লকেট দলের মহিলা মোর্চার সভাপতি। বিভিন্ন কারণে দলীয় কার্যক্রম বা আন্দোলনের জন্য মাঝে মাঝেই বীরভূমে যান লকেট। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত বেশ কয়েকবার লকেটকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যও করেছেন।
বীরভূমের এক সমাজকর্মীকে পার্টি অফিসে বসে গাঁজা কেসে গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে দেখা যায় অনুব্রতকে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে গিয়ে মঙ্গলবার লকেটের বক্তব্য, “অনুব্রত মন্ডল এত কথা বলেন কিন্তু ওর এত টাকার উৎস কী? মানুষ জানতে চায়।”
পড়ুন: ও বিজেপি করে, গাঁজার কেস দিয়ে অ্যারেস্ট করিয়ে দে: অনুব্রত
- Advertisement -
লকেট আরও বলেন, “বীরভূমের গরুপাচার, বালি খাদান সিন্ডিকেটের মত অনৈতিক কাজকর্ম হচ্ছে। প্রশাসন কিছুই দেখেনা। আর উনি মহিলাদের ব্যাপারে যে মন্তব্য করেন তা ধিক্কারজনক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রতর গাঁজা কেসে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকির ঘটনার পরও নীরব রয়েছেন। ২৪ঘন্টার মধ্যে কোনও বিবৃতি দেননি।” উল্লেখ্য রবিবার বীরভূমে তৃণমূল পার্টি অফিসে বসে অনুব্রতর ওই সমাজকর্মীকে হুমকির ভিডিও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দেখানো হয়।
লকেট মঙ্গলবার বলেন, “যা হয়েছে একদিক থেকে ভালো হয়েছে। তৃণমূলের মুখোস খুলে গেছে। কোন রাজ্যে আমরা বাস করছি! মহিলাকে গাঁজার কেসে অ্যারেস্ট করিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন নেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন দেশে গনতন্ত্র নেই, আসলে বাংলায় গনতন্ত্র নেই। দিদি বলেন অনুব্রতর মাথায় নাকি অক্সিজেন যায় না। অনুব্রতকে সমর্থন করেন। লোকসভার আগে আমরা দেখব অনুব্রতর মাথায় যেন বেশি অক্সিজেন না যায়।”
লকেটের আরও বক্তব্য, “বাংলায় কেস যেন আলু পেঁয়াজের মত বিক্রি হচ্ছে। একে গাঁজার কেস দে বললেই দেওয়া যায়। যেন মাফিয়া রাজ চলছে। এখানে মমতা হলেন কোচ, অনুব্রত ক্যাপ্টেন, পু্লিশ হও খেলোয়াড়।“
বাংলাদেশ সময়: ১৩:০২:৩৬ ২৭৯ বার পঠিত