শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

চোরাই মালামাল বিক্রি করতে গিয়ে ২ চোর গ্রেপ্তার

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » চোরাই মালামাল বিক্রি করতে গিয়ে ২ চোর গ্রেপ্তার
শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩



চোরাই মালামাল বিক্রি করতে গিয়ে ২ চোর গ্রেপ্তার

ফতুল্লার পাগলাস্থ রিগ্যাল ফার্নিচারের দোকান থেকে খাট সহ আসবাবপত্র চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার পর খাটের হাইসা (হাসিয়া) কিনতে এবং খাট বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলো দুই চোর।

শুক্রবার বিকেলে তাদেরকে সদর থানার ডনচেম্বার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ফতুল্লা মডেল থানার কাঠেরপুল এলাকার মৃত তোতা মিয়ার পুত্র ইমন(২৬) ও একই এলাকার অলি আহম্মেদের পুত্র মো. সোহেল (২৬)।

এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে চোরাইকৃত চারটি খাট, দুটি চেয়ার,একটি টেবিল ও একটি কর্নার সুকেস উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে চুরি যাওয়া রিগ্যাল ফার্নিচারের দোকান মালিক ফয়েজুর রহমান বাদী হয়ে ১ জানুয়ারি ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, পাগলা বাজারস্থ রিগ্যাল ফার্নিচারের দোকান থেকে চলতি মাসের ১ জানুয়ারি সকাল ছয়টার দিকে দোকানের তালা ভেঙ্গে দশটি খাট,আটটি চেয়ার, ৪ টি টেবিল সহ চার লাখ টাকার আসবাবপত্র চুরি করে একটি পিকাপ ভ্যানে করে নিয়ে যায়।

এ সময় পাগলা বাজারের নিরাপত্তারক্ষী দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলে তাকে জানানো হয় মালামাল ডেলিভারি করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সকাল দশটার দিকে দোকানটির কর্মচারী দোকানে এসে বিষয়টি দেখতে পেয়ে বাদীকে অবহত করে। বাদী ঐদিনই অজ্ঞাতনামা চার চোরকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানায়, মামলা দায়েরের পরপর তিনি তদন্তে নেমে একাধিক নিজস্ব সোর্স ব্যবহার করেন। শুক্রবার বিকেলে তিনি সংবাদ পান যে শহরের ডনচেম্বার এলাকার একটি দোকানে খাটের হাসিয়া বিক্রি করার জন্য দুই ব্যক্তি এসেছেন।

তারা দোকানে আলোচনা করেন যে যদি হাসিয়া না পাওয়া যায় তাহলে তারা বেশ কয়েকটি খাট হাসিয়া ছাড়া বিক্রি করে দিবেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি বিকেল পাচটার দিকে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ডনচেম্বার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইমন ও সোহেল কে আটক করেন।

পরে ইমনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার নিজ এবং তার চাচার ঘর থেকে চারটি খাট, দুটি চেয়ার, একটি টেবিল ও একটি কর্ণার সুকেশ উদ্ধার করে। চুরি যাওয়া বাকী আসবাবপত্র উদ্ধার সহ জড়িত অপর দুই আসামী কে গ্রেপ্তারের চেস্টা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃতদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৯:৪১   ১৯৯ বার পঠিত