পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মিয়ানমার থেকে ১০ লাখের বেশি বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিক (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে উপকূলীয় বন, পাহাড়ি পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বা হচ্ছে।
রোববার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। এ বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল, জনবহুল এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো যাতে খাদ্য নিরাপত্তা এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর বিকল্প জীবিকায়ন নিশ্চিত করে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং এর টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতকরণে পর্যাপ্ত আর্থিক, কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা পেতে পারে, সে লক্ষ্যে উন্নত বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রায় ৩৮ বছর পর পরিবেশ ও মানবদেহের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর ডাইক্লোরো ডাইফিনাইল টেট্রাক্লোরোইথেন (ডিডিটি) পাউডার চট্টগ্রাম থেকে সরানো হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া সদ্যসমাপ্ত বিশ্ব জীববৈচিত্র্য সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রী।
১৯৮৫ সালে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছিল ৫০০ টন ডিডিটি। এর কিছুদিন পরেই গবেষণায় জানা যায় ডিডিটি বিষাক্ত পাউডার। মানুষের শরীরে বিন্দু পরিমাণ ঢুকলেও তা হয়ে ওঠে প্রাণঘাতী। এ কীটনাশককে মানুষের জন্য বিপজ্জনক ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)।
গতবছর বিপজ্জনক এ জৈবরাসায়নিক কীটনাশক সরিয়ে নেয়া হয়। ফলে বিপদ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশকে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরে গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক তহবিল প্রতিষ্ঠা করা হবে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এই তহবিল বাস্তবায়নে তথা জীববৈচিত্র্য এবং প্রতিবেশ সংরক্ষণের জন্য ৩৫০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দিতে অঙ্গীকার করেছেন। আমরা আশা করি, অন্যান্য উন্নত দেশগুলোও কানাডার পথ অনুসরণ করে এ তহবিল বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতার পরিমাণ বাড়াবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৭:৩৯ ১৮৭ বার পঠিত