মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া
মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩



আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপজ্জনক সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় আশ্রয় নিলেও বিতাড়িত হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। দেশটির আচেহ প্রদেশে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হলেও সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্কের প্রতিবেদন অনুসারে, ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয়রা বলছেন, রোহিঙ্গারা স্থায়ীভাবে আশ্রয় নিলে হুমকির মুখে পড়বে জনজীবন। ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ায় মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ডের উচিত বাংলাদেশের মতো রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া।

কয়েক মাস ধরেই অবৈধভাবে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় আশ্রয় নেয়া শুরু করেছেন রোহিঙ্গারা। গত কয়েক সপ্তাহে কাঠের নৌকায় করে দেশটির আচেহ প্রদেশের উপকূলে পৌঁছান এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। ঝুঁকিপূর্ণ এ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। আচেহ উপকূলে উদ্ধার করা রোহিঙ্গাদের ইউএনএইচসিআরের তত্ত্বাবধানে আশ্রয় দেয়া হলেও তাদের বিতাড়িত করে দেয়ার অভিযোগ করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিনের জন্য আশ্রয় নিলে আচেহ উপকূলের জীববৈচিত্র্য নষ্টের পাশাপাশি তাদের জনজীবন হুমকির মুখে পড়বে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের আশ্রয় দেয়ার বিপক্ষে ইন্দোনেশীয়রা।

স্থানীয় একজন বলেন, ‘জানি তাদের সহযোগিতা করা উচিত। সেভাবে আমরা সাহায্য-সযোগিতা করছিও। কিন্তু এভাবে কত দিন! খুব বেশিদিন তো করা যাবে না। এখানে জীবিকা নির্বাহ এমনিতেই অনেক কঠিন। আমরা নিজেই ভালো নেই।’

তবে রোহিঙ্গাদের বক্তব্য হলো, মানবিক কারণে ইন্দোনেশিয়া সরকারের উচিত তাদের আশ্রয় দেয়া। নিরাপদ প্রত্যাবাসনের সুযোগ পেলে নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার কথাও জানান তারা।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশের মতো এ দেশগুলোর উদার মনোভাব নিয়ে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৬:১১   ১৮৫ বার পঠিত   #  #