বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

পাইপলাইনে জ্বালানি তেল আমদানি, চাহিদা মেটাবে উত্তরবঙ্গের

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » পাইপলাইনে জ্বালানি তেল আমদানি, চাহিদা মেটাবে উত্তরবঙ্গের
বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩



পাইপলাইনে জ্বালানি তেল আমদানি, চাহিদা মেটাবে উত্তরবঙ্গের

ভারত থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল আমদানির সঙ্গে বাড়ছে মজুত সক্ষমতাও। দিনাজপুরের পার্বতীপুরে জুনের মধ্যে নির্মাণ হবে আরও ৬টি ট্যাংকার। এতে মজুত ক্ষমতা হবে ৪৩ হাজার টন, যা দিয়ে উত্তরবঙ্গে দুই মাসের চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।

এ ছাড়া রংপুর পর্যন্ত পাইপলাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনাও রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির।

দেশের জ্বালানি খাতে নতুন সম্ভাবনা জাগানিয়া যাত্রা শুরু হয় চলতি মাসের ১৮ মার্চ; দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। দেশের প্রথম এ আন্তঃদেশীয় পাইপলাইন সুগম করল ভারতের নুমালিগড় থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত সহজে তুলনামূলক কম সময় আর সাশ্রয়ী খরচে জ্বালানি তেল আমদানি।

আর এ পাইপলাইনের সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগাতে বাড়নো হচ্ছে মজুত সক্ষমতাও। পার্বতীপুর ডিপোতে অবকাঠামোর পাশাপাশি তৈরি করা হচ্ছে আরও ৬টি ট্যাংকার। আর এসবের নির্মাণকাজ জুনে শেষ হবে বলে জানিয়েছে বিপিসি। ফলে এখনকার তুলনায় তিনগুণ বেড়ে ডিপোর মজুত ক্ষমতা দাঁড়াবে ৪৩ হাজার টন, যা দিয়ে সম্ভব হবে উত্তরবঙ্গের দুই মাসের চাহিদা মেটানো।

বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ সম্প্রতি সময় সংবাদকে বলেন, এখন আমরা ১৫ থেকে ২০ দিন বা সর্বোচ্চ এক মাস তেল মজুত রাখতে পারি। তেলের যখন চাহিদা বেড়ে যায় তখন সমস্যায় পড়তে হয়, এ ডিপো নির্মাণ হলে তেলও মজুতের পরিমাণ বাড়বে; তখন আর সমস্যায় পড়তে হবে না।

ডিপোর সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে পাইপলাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনাও রয়েছে বিপিসির। সেক্ষেত্রে পার্বতীপুর থেকে রংপুর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে পাইপলাইন বলে জানা গেছে।

বিপিসির চেয়ারম্যান জানান, পাইপলাইন সম্প্রসারণ করা হলে এরফলে আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হবে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা। রংপুরে আমরা যদি ৩ থেকে ৪টা ট্যাংক করতে পারি; তাহলে পুরোপুরি তেল সরবরাহ নিরাপদ হয়ে যাবে ওই এলাকার জন্য। পাশাপাশি অন্য জেলাতেও সরবরাহ করা যাবে। রংপুরে আমাদের একটি ডিপো আছে, সেটি যদি (পাইপলাইন) আমরা সেখানে নিয়ে যেতে পারি, তাহলে সম্ভাবনার অনেক দ্বার উন্মোচন করবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরূল ইমাম বলেন, জ্বালানি তেলটা যদি সড়কপথে না এনে পাইপলাইনের মাধ্যমে আনা যায় তাহলে এটা ভালো পন্থা হিসেবে গণ্য করা যাবে। কারণ এখানে আনা নেয়ার খরচটা সাশ্রয়ী হবে এবং সময়ও কম লাগবে।

প্রাথমিক অবস্থায় মৈত্রী পাইপলাইনে বছরে দুই থেকে আড়াই লাখ টন ডিজেল ভারত থেকে আনতে চায় বিপিসি, পরবর্তীতে যা উন্নীত হবে ১০ লাখ টনে।

বাংলাদেশ সময়: ১১:১৫:১৫   ১২৬ বার পঠিত