রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩

অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ প্রত্যাহারের দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জে প্রতিবাদ সভা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ প্রত্যাহারের দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জে প্রতিবাদ সভা
রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩



অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ প্রত্যাহারের দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জে প্রতিবাদ সভা

ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব রেখে সংসদে উত্থাপিত অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ প্রত্যাহার দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জে গোদনাইলে মেঘনা ও পদ্মা ডিপোতে প্রতিবাদ সভা করেছেন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা।

সকালে পৃথকভাবে গোদনাইল পদ্মা ও মেঘনা ডিপোর সামনে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশন (রে:জি নং বি-২১০০) উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও গোদনাইল মেঘনা ডিপো শাখার সভাপতি আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ফেডারেশন ও ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাজী আব্দুল মতিন মুন্সী, ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী জাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ফেডারেশনের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট রুহুল আমিন বক্তব্য রাখেন।

এ বিলকে শ্রমিকের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার পদক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করে ধর্মঘটের অধিকার একটি গণতান্ত্রিক অধিকার’ উল্লেখ করে প্রতিবাদ সভায় শ্রমিক নেতারা বলেন, ‘সংবিধান, আইন, আইএলও কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান সবখানেই শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকারের স্বীকৃতি আছে।

শ্রমিক তার ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে বাধ্য হয়। আলাপ আলোচনার সমস্ত দরজা বন্ধ হলেই ধর্মঘট আহ্বান করে থাকে।’

‘প্রতিবাদের এই সর্বশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়ার অর্থ হলো শ্রমিকদের উপর বিনা বাধায় নিপীড়নের অধিকার সম্প্রসারিত হওয়া,’ বলেন নেতৃবৃন্দ। এই বিল আইনে পরিণত হলে তা মালিকদের সুরক্ষা এবং শ্রমিকদের ভীতি প্রদর্শন ও শাস্তি প্রদানের হাতিয়ারে পরিণত হবে।

ট্যাংকলরী শ্রমিক ফেডারেশনের মতে, জরুরি সেবা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, শ্রমিকের অধিকারও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। এই বিল আইনে পরিণত হলে তা শুধু ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারকে সংকুচিত করবে তাই নয়, শ্রমিকদের আইনসঙ্গত আন্দোলনের পথও রুদ্ধ করবে।

এসময় প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন ফতুল্লা মেঘনা ডিপোর কার্যকরী সভাপতি ইকবাল চৌধুরী, ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন মালিক সমিতির সভাপতি হাজী রুহুল মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক হাজী সালাউদ্দিন মহাজন, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন গোদনাইল মেঘনা ডিপো ইউনিটের সিনিয়র সহ-সভাপতি মন্ডল মোঃ মহিউদ্দিন সানী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, সহ-সাধারণ সম্পাদক এ.আর মহসীন, গোদনাইল পদ্মা ডিপো শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা মনির হোসেন, আবুল হোসেন, আসিফ হাসান রিদয়, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন পদ্মা ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি রাকিব ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব, টার্মিনাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক নাজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সেন্টু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৮:২৪   ১৫৮ বার পঠিত