নড়াইলের কালিয়ায় এক বাড়িতে ডাকাতি করে বের হয়েই দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্য। এসময় তাদের লুট করা স্বর্ণালংকারসহ মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার (৭ জুলাই) দিনগত ভোরে কালিয়া উপজেলার চাপাইল ব্রিজ এলাকায় দ্বিতীয় দফা ডাকাতিকালে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তারা। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২ জুলাই নড়াগাতী এলাকায় ডাকাতি করে লুট হওয়া স্বর্ণালংকার নড়াইলের বড়দিয়া ও গোপালগঞ্জের রামদিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়।
ডাকাতি করা স্বর্ণ কেনার অভিযোগে দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মোহা. মেহেদী হাসান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতি, গ্রেফতার ৮
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার ফলসি ফুকরা গ্রামের সাহেদ আলীর ছেলে আল আমিন (৩১), একই গ্রামের বালাম শেখের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩২), খুলনা জেলার তেরখাদা থানার নলিয়ার চর গ্রামের জলিল মোল্লার ছেলে জাকির হোসেন মোল্লা (৩৮), একই গ্রামের তারা ভুঁইয়ার ছেলে গোলাম রসুল (৩৪), একই থানার আটলিয়া গ্রামের দাউদ আলী শিকদারের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (৩৩) এবং নড়াইলের নড়াগাতী থানার নলামারা গ্রামের অরুণ ভৌমিক (৫২)। তারা পেশায় ভ্যানচালক ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক।
আটক স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার রামদিয়া বাজারের পূজা জুয়েলার্সের মালিক অমৃত বালা (৩৯) ও নড়াগাতী থানাধীন বড়দিয়া বাজারের অপূর্ব জুয়েলার্সের মালিক অপরেশ শিকদার (৩৫)।
পুলিশ সুপার মেহেদী আরও জানায়, গত ২ জুলাই রাতে নড়াগাতী থানার নলামারা গ্রামের মফিজুর চৌধুরীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাতরা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, একটি মোটরসাইকেল ও একটি টেলিভিশন লুট করে নিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী মফিজুর থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
প্রথম দফা ডাকাতির পর পুলিশ ডাকাতদের চিহ্নিত করতে নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে। তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় ডাকাতদের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ৭ জুলাই রাতে একই এলাকায় আবার ডাকাতি করার পরপরই পুলিশ তাদের মালামালসহ গ্রেফতার করে।
পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে, কাশিয়ানীর পূজা জুয়েলার্স এবং নড়াইলের বড়দিয়ার অপূর্ব জুয়েলার্স থেকে লুট হওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকারের মধ্যে রয়েছে দুটি চেইন, দুটি চুড়ি, দুটি হার, পাঁচ জোড়া কানের দুল, চারটি আংটি, দুটি ভাঙা চুড়ি ও দুটি রুপার নূপুর।
পুলিশ সুপার মেহেদী বলেন, গ্রেফতার হওয়া ডাকাত সদস্যদের বিরুদ্ধে পাশের যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জে চুরি, ডাকাতি, অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রযেছে। তাদের স্থানীয় তথ্যদাতাদের শনাক্ত করেছি, দ্রুত তাদের ও আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৩:১৪ ৫৩ বার পঠিত